এম. আর. চৌধুরী, জেলা প্রতিনিধি মৌলভীবাজার।
বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী জনাব আনছারুজ্জামান খাঁন আর নেই।
গত ৩০/০৫/২০২২ ইং রোজ সোমবার রাত ১০ ঘটিকায় নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৩ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টজনিত ও হৃদযন্ত্রের অসুখে ভুগছিলেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী জনাব আনছারুজ্জামান খাঁন ১৯৫০ সালের ২০শে জানুয়ারি ভারতের বর্ধমান জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈত্রিক নিবাস মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার ৩ নং মুন্সিবাজার ইউনিয়নের করিমপুর গ্রামে (মোহাম্মদ খাঁন ভিলা)।
জনাব মোহাম্মদ খাঁন ও তৈয়বুন্নেছা খাতুনের ৪ ছেলে ও ৩ মেয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন ২য়।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি ভারতের অম্পিনগর টেনিং ক্যাম্প থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন এবং সশস্ত্র যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ৩নং সেক্টরে সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল কে.এম. শফিউল্লাহ এর নেতৃত্বে সহযোদ্ধাদের সাথে সম্মুখ যুদ্ধ্বে অংশ নেন।
ছাত্রজীবনে তিনি ছিলেন এক তুখোড় ছাত্রনেতা। চট্রগ্রাম পলিটেকনিকেল ইন্সটিটিউট থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন।
জীবদ্দশায় তিনি সিলেট,চট্রগ্রাম, ভারত ও পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে থেকেছেন এবং জীবনের শেষ সময়গুলো নিজ বাড়িতে কাটান।
গত ৩১/০৫/২২ইং সকাল ১১টায় নিজ বাড়ির উঠোনে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামায শেষে প্রশাসনের একদল চৌকশ বাহিনী তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন এবং জাতির এই বীর সন্তানকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্মান জানিয়ে দাফনকাজ সম্পন্ন করা হয়।
তিনি এক অসাধারণ ব্যাক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন।
জাতির এই সূর্য্য সন্তানকে সম্মান জানাতে রাজনগরের সাবেক সেক্টর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব সজল কুমার চক্রবর্তী, উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব বাবলু সূত্রধর, রাজনগর থানা এসআই জনাব কামাল হোসেন, প্রশাসনের একদল চৌকস বাহিনী, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব রাহেল হোসেন, ইউপি সদস্য জনাব লিটন মিয়া, অনেক রাজনীতিবিদ, মুক্তিযোদ্ধা, সর্বস্তরের শ্রেনী পেশার মানুষ ও এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
তিনি তার সহধর্মিণী, এক পুত্র সন্তান ও ২ কন্যাসন্তান সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
এই বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুতে সবাই শোকাহত।আমরা তার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
Leave a Reply