হবিগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বই বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে ঃ- হবিগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি বিনামূল্যের বই বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। বইগুলো বিক্রির সময় তা হাতেনাতে আটক করেন সহকারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। এমনকি মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির সিল, স্বাক্ষর দিয়েই তিনি বিল ভাউচার করছেন। উত্তোলন করছেন বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজের বরাদ্দের অর্থ। এ ঘটনায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা।জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গোলাম মাওলা বলেন, শুনেছি একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে জানতে বার বার প্রধান শিক্ষক সমিরণ কিশোর দাশের মোবাইল ফোনে যোগযোগের চেষ্টা করলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।অভিযোগে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার পুরানগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমিরণ কিশোর দাশ যোগদান করেন ২০১৫ সালে। এরপর থেকেই তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশের প্রতি চরম উদাসিন। তার যোগদানের পর থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মানও নষ্ট হচ্ছে। ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ প্রায় ৫ বছর পূর্বে উত্তীর্ণ হলেও এ নিয়ে তার কোন মাথাব্যাথা নেই। মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির সিল স্বাক্ষর দিয়েই বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজের বরাদ্দের অর্থ উত্তোলন করেন। বিল ভাউচার করেন। গত ১১ আগস্ট বিদ্যালয়ের দপ্তরী খালেদ আহমেদ ফেরিওয়ালার নিকট বিদ্যালয়ের সরকারি বই বিক্রি করে দেন। বিষয়টি দেখতে পান সহকারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। তিনি ছবি তুলে বইগুলো জব্দ করেন। তিনি দপ্তরির কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে দপ্তরি জানান প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে তিনি বইগুলো বিক্রি করছেন। অথচ শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের নিকট বইয়ের জন্য গেলে তিনি বই নাই বলে বিদায় করে দেন। এই গটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে এলাকা বাসীর দাবী উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক সমিরন কিশোর দাসেন বিরুদ্ধে আইগত ব্যাবস্তা নিতে শিক্ষা মন্ত্রনা লয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।