বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াজেদ আলী’র খুনিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন
ওসমান গণি
লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াজেদ আলীর হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে পাটগ্রাম উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সন্তানদের উদ্যোগে বাংলাদেশ বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ, বাংলাদেশ প্রাইমারী শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সহ বিভিন্ন সংগঠণ বিক্ষোভ মিছিল বের করে পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পশ্চিম চৌরঙ্গী মোড়ে মানববন্ধন হয়। এতে বিভিন্ন ইউনিয়ন, পৌরসভা ও কলেজ শাখার সকল মুক্তিযোদ্ধা ও সন্তানেরা অংশ নেন।
উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত থাকেন,সদ্য সাবেক মুক্তিযোদ্ধা সংসদের লালমনিরহাট জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ,পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল,পাটগ্রাম পৌর মেয়র রাশেদুল ইসলাম সুইট, পাটগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পূর্ণ চন্দ্র রায়,
সদ্য সাবেক মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পাটগ্রাম উপজেলা কমান্ডার এএইচএম সালাউজ্জামান ফারুক প্রধান, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জাকির হোসেন,বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন,বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় সহ -সভাপতি এবিএম মনিরুজ্জামান নুর শাহীন,বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড পাটগ্রাম উপজেলা সভাপতি এএইচ এম তারেকুজ্জামান প্রধান।
বক্তারা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজেদ আলীর হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন।
উল্লেখ্য হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার এক যুবককে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তাঁর নাম আলমগীর হোসেন আব্দুল্লাহ (২৮)। তিনি পাটগ্রাম পৌরসভার নিউ পূর্বপাড়ার বাসিন্দা। পুলিশ তাঁকে গত সোমবার গ্রেপ্তার করে।
আলমগীরকে লালমনিরহাট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করে পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। শুনানি শেষে বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ঘটনার সূত্রপাত, গত শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার সময় নিউ পূর্বপাড়ায় নিজ বাসায় যাওয়ার পথে ওয়াজেদ আলী দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন। এ ঘটনায় পরদিন শনিবার রাতে ওয়াজেদের ছেলে রিফাত হাসান বাদী হয়ে পাটগ্রাম থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলায় ফাতেমা প্রি-ক্যাডেট অ্যান্ড কিন্ডারগার্টেনের খণ্ডকালীন শিক্ষক নাহিদুজ্জামান প্রধান বাবুকে মূল আসামি করা হয়। ওয়াজেদকে ছুরিকাঘাতের পর থেকে বাবু পলাতক ও তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ রয়েছে।
Leave a Reply