প্রবাদ আছে, চোরে না শোনে ধর্মের কাহীনি, এটা তার বাস্তব চিত্র !
ছবিটা সদ্য কাতলাশুর জামে মসজিদ থেকে নেওয়া,, বার বার চুরি হওয়ার পর মসজিদ কর্তৃপক্ষ নতুন টিউবওয়েল কিনে এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন । এই শিকলেই বন্ধী যেন গোটা এলাকাবাসী তার সাথে বাংলাদেশের ইজ্জত । মাঝেমধ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে তাবলীগ জামাতের লোক আসে, এই দৃশ্য দেখলে আমাদের দেশ সম্পর্কে কেমন ধারণা পাবে ??.. বলবে গিয়েছিলাম এমন একটা দেশে যেখানে মসজিদের টিউবওয়েল তালাবদ্ধ করে রাখা লাগে !!
গত ১ বছরে কাতলাশুর সহ আশেপাশের গ্রামে চুরি হয়নি এমন কোনো বাড়ি নেই । সচিবের বাড়ির রড, মেম্বারের মটর, গ্রামের মাতুব্বরের বাড়িতে চুরি, বিদ্যুতের ট্রান্সমিটার সহ অসংখ্য মোবাইল, দোকানপাট, অটো গাড়ী , একযোগে ১৫টার বেশি টিউবয়েল এমনকি বাহিরে থাকা গামলা, বালতি, বদনা ও চুরি হচ্ছে !!
হ্যাঁ, বলছি এক ভাগ্যবিপর্যিত এলাকার মানুষের গল্প, যারা বার বার নদী ভাঙ্গনের স্বিকার । নিয়ম হওয়া উচিত ছিল, আমার ফসলি জমি, বসতভিটা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেলে সরকার আমাকে ভর্তুকি বা অনুদান দিবে । তা নয় বরং এই জমি ২০-৩০ বছর পর যখন পেলাম তখনই রেকর্ড হয়নি, খাস হয়ে গেছে বলে জমি অধিগ্রহণ করা হলো ৩০০ একর ! নির্মাণ করা হলো গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ন প্রকল্পের তিন শতাধিক ঘর, পার্ক, বনায়ন , খেলার মাঠ, বাজার, গোরস্তান সহ ১৭ টি প্রকল্প। যার ফলে তৈরি হয়েছে মাদকের আখড়া, চোরের খনি !
ইউ এন ও মহাদয়ের বিবেচনা করা উচিত ছিল একটা নির্দিষ্ট একালায় বিভিন্ন স্থান থেকে আসা এত নিম্নগামী মানুষের চাপে সেখানকার স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হবে, সাধারণ জনজীবনে নেমে আসবে চরম চরম চরম ভোগান্তি । "ভাঙন তীরে, তিন ফসলা জমিতে এমন প্রকল্পের তিব্র নিন্দা জানাই "
আমরা বর্তমান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল ইসলাম স্যারের দৃষ্টি আকর্ষন করছি , স্যার আমরা বলছি না এদের থেকে কিছু সংখ্যক পূর্নবাসনের ব্যবস্থা করা হোক, মিনতি করছি আমাদের কে এই শিকলে বন্ধী জীবন থেকে মুক্ত করুন । স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে পেলে এলাকাবাসী চিরকৃতজ্ঞ থাকিবে ।।