জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসারে একটি স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার দাবিতে একটি মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন বিভিন্ন সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা।
২০১০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন এবং প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন অনুযায়ী এ দাবি বাস্তবায়নের আহবান জানান তারা।
শনিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে শিক্ষকরা এ দাবি জানিয়েছেন। ‘স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটি’ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কমিটির আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির খুলনা অঞ্চল কমিটির সভাপতি মমতাজ খাতুন, বাস্তবায়ন কমিটির মুখপাত্র মো. ওমর ফারুক, গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল ঢাকার সিনিয়র শিক্ষক ও বাসমাশিস ঢাকা মহানগরীর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, সরকারি মাধ্যমিক স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের মহাসচিব ও মৌলভীবাজার জেলা বাসমাশিসের সাধারণ সম্পাদক মানজু মিয়া সরকার, বাসমাশিস খুলনা অঞ্চল কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনিরুল ইসলাম মঞ্জু, শিক্ষক নেতা মাহমুদা খাতুন, গাজী আজিজুর রহমান, রিজবি আহমেদ খান, আল মাসুম লিয়েন, অপূর্ব সরকার, আব্দুস সামাদ, সাইফুল ইসলাম, মো. সালাউদ্দিন, সালেহ উদ্দিন কাওসার প্রমুখ।
সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের এন্ট্রি পদ নবম গ্রেডে উন্নীত করে চার স্তরীয় একটি একাডেমিক পদসোপান সহ ২০১০ এর জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে মাধ্যমিকের জন্য একটি স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান সারাদেশের বিভিন্ন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে আগত শিক্ষক নেতারা। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে রাজধানী ঢাকা সহ খুলনা, বরিশাল, সিলেট, চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন শিক্ষা অঞ্চল ও জেলা থেকে শিক্ষকরা যোগ দিয়ে এ দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বর্তমানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন বিপুল সংখ্যক মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বেসরকারি কলেজ, সরকারি কলেজ রয়েছে। এত বিশাল সংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তদারকিসহ অন্যান্য কার্যক্রম চালাতে হিমসিম খাচ্ছে মাউশি। তাই মাধ্যমিক শিক্ষা শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে হলে শিক্ষা প্রশাসনের কাজে গতি আরো বাড়াতে এবং নতুন কারিকুলামের আলোকে সরেজমিন পাঠদান পরিদর্শন ও তদারকি ব্যবস্থা জোরদার করা খুবই জরুরি। আর তাই, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এর প্রস্তাবনা এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন অনুযায়ী মানসম্মত আধুনিক, যুগোপযোগী ও বাস্তবমুখী শিক্ষা নিশ্চিত করতে এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২১ মাঠ পর্যায়ে সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য ‘স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর’ এর কোনো বিকল্প নেই। এ সময় সারা দেশ থেকে আগত শিক্ষকগণ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে থেকে তাঁদের পদ শূন্য থাকার পরেও পদোন্নতি না হওয়া, প্রাপ্য টাইমস্কেল/ সিলেকশান গ্ৰেডের মঞ্জুরি আদেশ না দেয়া সহ বিভিন্ন বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন।
Leave a Reply