সরকারি জমি পুনঃদখল করে স্থাপনা নির্মাণ
অপূর্ব সরকার,
বিশেষ প্রতিনিধি , পটুয়াখালী।
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া বোর্ড বাজার এলাকায় সরকারি জমিতে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দেওয়ার পরেও অদৃশ্য ক্ষমতা বলে সেখানে আবারো নতুন করে স্থাপনা নির্মাণ করছেন মোশারেফ হাওলাদার নামের এক ব্যাক্তি।
গত শনিবার দুপুরে সরেজমিন পরিদর্শনকালে নির্মানকাজ চলমান দেখাযায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, চার বছর পূর্বে মোশারেফ হাওলাদার সরকারি জমি অবৈধভাবে দখল করে হাওলাদার এন্টারপ্রাইজ নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা যায় উপজেলার মুরাদিয়া মৌজার বিএস ১ খতিয়ানের ৩০০১ দাগের ১২.৫ শতাংশ জমি দলীয় প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ দখলে রেখেছেন ঐ ব্যাক্তি। ২০১৯ সালের এক নোটিশে তাকে ঐ অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে বলা হলেও কোন আইনের তোয়াক্কা না করেই তিনি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
পরবর্তীতে গত ১লা মার্চ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চেন মং রাখাইনের নেতৃত্বে উপজেলা ভূমি অফিস ও দুমকি থানা পুলিশের সহায়তায় সরকারি খাস জমিতে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা দখল মুক্ত করা হয়। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে ফের উদ্ধারকৃত জমি পুণঃ দখল করে স্থাপনা নির্মান করতে দেখা গেছে। সরকারি জমিতে কি করে স্থাপনা নির্মান করছেন এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মোশারেফ হাওলাদারের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-ইমরান প্রতিবেদককে জানান, "কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আজ কোন কাজ চলছেনা। ভদ্রলোক নিতান্ত গরীব, এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন আমাকে ফোন করেছেন। এছাড়া তিনি (মোশারেফ) জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন, রাস্তায় তার জমি চলে গেছে, যার কোন ক্ষতিপুরন তিনি পান নি। তাই জেলা প্রশাসকের কাছে অস্থায়ীভাবে একটি স্ব-মিল বসানোর জন্য জায়গা চেয়েছেন। স্যার (জেলা প্রশাসক) আমাকে মৌখিক ভাবে বলেছেন কারো কোনো সমস্যা না হলে স্ব-মিল বসাতে দিতে। তবে তিনি যদি অবৈধ ভাবে কিছু করে থাকেন তবে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।"
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বলেন, এমন কোন ব্যাক্তিকে আমি চিনি না। ইউএনওর সাথে তার কথা হয়ে থাকতে পারে। সরকারি জমি অবৈধ দখল করলে উচ্ছেদ করবো।