গলাচিপায় জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জেরে পোল্ট্রি ফার্মে আগুন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি।
মোঃ মহিউদ্দিন সুমন,
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জেরে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চিকনিকান্দী ইউনিয়নের ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের মাঝগ্রাম এলাকায় পোল্ট্রি ফার্ম ও বসতঘরে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে।
মামলা ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায় গত ১০ এপ্রিল রোজ সোমবার সকাল ১০ টায় গলাচিপা উপজেলার চিকনিকান্দী ইউনিয়নের ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের মাঝগ্রাম এলাকার মৃত আবদুল আলী মল্লিকের ছেলে জহিরুল ইসলাম মল্লিক এর বসতঘরে একই বাড়ির মৃত শামসুদ্দিন মল্লিকের ছেলে আসামী ১/ফারুক মল্লিক(৩৫), ২/মজিবর মল্লিক(৩৩), ৩/স্ত্রী ফিরোজা বেগম(৫২), ৪/মৃত শাহাবুদ্দিন মল্লিকের স্ত্রী মাহিনুর বেগম (৫০) এসে হামলা চালায় এবং ৯ই এপ্রিল রোজ রবিবার রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে পোল্ট্রি ফার্মে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।
এতে জহিরুল ইসলাম মল্লিকের ফার্মে থাকা প্রায় ৬শতাধীক মুরগী মারা যায় বলে জানান তিনি।
এবিষয় নিয়ে তাদের উভয়দের সাথে কথা হয় এবং এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিদের সাথেও কথা বলে যানা যায় উভয়ই একই বাড়ির আত্মীয় স্বজন।
এদিকে জহিরুলের করা মামলার কথা শুনে উল্টো আসামীরা মিথ্যা নাটক সাজিয়ে ফিরোজা বেগমকে বাদী করে জহিরুল ইসলাম মল্লিককে আসামী করে গলাচিপা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সি আর মামলা নং-৩১১/২৩ মামলা দায়ের করেন।
এই মামলার বিষয় নিয়ে ফিরোজা বেগমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন জহিরুলের গরু ও ছাগলে আমাদের বসত বাড়ির অনেক গাছপালা নষ্ট করেছে। এনিয়ে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে।
এদিকে জহিরুলের ব্যাপারে জানতে চাইলে স্থানীয় আমিনুল মল্লিক, শাহিন মল্লিক, মাহাবুব হাওলাদার সহ আরো অনেকে বলেন যে, প্রতিদিনের মত কাজ সেড়ে বাড়ি এসে দেখে ফার্মে আগুন জ্বলছে, তা দেখে ডাক চিৎকার দিলে জহিরুল ইসলাম মল্লিক ও তার স্ত্রী পারভীন বেগম বেড় হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এসময় ফার্মে থাকা প্রায় ৬শতাধীক মুরগী আগুনে পুড়ে মারা যায়।। তারা আরো বলেন এই জায়গা জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে অনেকবার ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ভাবে সালিশ ব্যাবস্থার কথা থাকলেও তা আর সমাধান হয়নি।
স্থানীয় ৪ নাম্বার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এর সভাপতি বশির মল্লিক বলেন এসব ঘটনা ঘটেনি। আগুন লাগা বা টাকা পাইবে এসব বিষয়ে বলেনি আর আমি জানিনা। তবে শামসুদ্দিন মল্লিকের স্ত্রী ফিরোজা বেগমের সাথে আগের দিন মারামারি হয় এবং এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগও হয়েছে । তারা উভয়ই আমার কাছে আসলে আমি বলি থানায় গেলে কি হবে। থানায় গেলেও তো আমরা ফয়সালা করবো। এছাড়াও তিনি আরো বলেন ফিরোজা বেগম এই স্বর্ন গয়না আর টাকার বিষয়টি এগুলো ভুয়া ও মিথ্যা।
এবিষয়ে ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির মুঠো ফোনে বলেন আগুন লাগা ও মারধর এর ঘটনা আমাকে জানিয়েছে। এবং উভয়ই আদালতে মামলা করেছে এটুই আমি জানি।
এবিষয়টি নিয়ে জহিরুল মল্লিকের স্ত্রী মামলার বাদী পারভীন বেগম আইনের কাছে তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচার দাবী করেন।
Leave a Reply