ইউএনও’র ওপর হামলার ঘটনায় মামলা, চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ৪
ফরিদপুরের মধুখালীতে আশ্রয়ন প্রকল্পের জায়গা নিয়ে বিরোধের জের ধরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার( ইউএনও)আশিকুর রহমান চৌধুরীর ওপর স্থানীয়দের হামলার ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। মামলায় ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) রাতে ও শুক্রবার (৫ মে) সকালে মামলা দুটি দায়ের করা হয়। দুটি মামলায়ই এক নম্বর আসামি করা হয়েছে ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মধুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শাহ আসাদুজ্জামানকে।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, দুটি মামলার মধ্যে একটি মামলা বাদী ইউএনও আশিকুর রহমান চৌধুরীর গাড়ি চালক সুমন শেখ। অপর মামলার বাদী মধুখালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রবীর কুমার বিশ্বাস। দুটি মামলায় ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আসামি দেখানো হয়েছে আরও ২৫০ জনকে। গাড়ি চালক সুমন শেখের দায়ের করা মামলায় সরকারি কাজে বাধা, ইচ্ছাকৃত ভাবে আঘাত করে জখম করা ও সরকারি সম্পত্তি ভাংচুর ও চুৃরির অভিযোগ আনা হয়েছে। এসআই প্রবীর কুমার বিশ্বাসের দায়ের করা মামলায় পুলিশের উপর হামলা, গাড়ি ভাংচুর করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ মামলায় শুক্রবার দুপুরের দিকে এজাহারভুক্ত চার ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মােহাম্মাদ আসাদুজ্জামান তপন, নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মোঃ মাহাফুজ মােল্যার ছেলে মো. প্রিন্স মােল্যা, শুকুর আলী মৃধার ছেলে ইব্রাহিম মােল্যা ও কবিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার স্থানীয়দের হামলায় থানার উপপরিদর্শক (এসআই) প্রবীর কুমার বিশ্বাস ও কনস্টেবল মো. আলী হোসেন, মাহমুদ খান ও আবু হানিফ আহত হন। এ ঘটনায় থানায় দুটি মামলায় চারজন আসামীকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে ওই এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণ নিয়ে জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিষয়ে স্থানীয়রা বিরোধিতা করে আসছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর চরপাড়া এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণ কাজের উদ্বোধনীতে যোগদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশিকুর রহমান চৌধুরী। এ সময় স্থানীয়রা ওই স্থানে আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণ কাজে বাঁধা দেন এবং এক পর্যায়ে লাঠিসোটা নিয়ে ইউএনও আশিকুর রহমান চৌধুরীরর উপর হামলা চালায়। এ সময় সরকারি গাড়ীটিও তারা ভাংচুর চালায়। অভিযোগ ওঠে ওই সময় ইউএনও ঘটনাস্থলে গেলে তার দেহরক্ষী আনসার সদস্যদের সাথে মানববন্ধনের ব্যানার নিয়ে নারীদের সাথে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে আইরিন নামে এক নারী আহত হন। অভিযোগ আনসার সদস্য তাকে আগ্নেয়ান্ত্রের বাট দিয়ে আঘাত করায় এ ঘটনা ঘটে। পরে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে হামলা করলে ইউএনও, চালক, দেহরক্ষী, কাজের ঠিকাদার, চার নারী, চার পুলিশ সদস্যসহ মোট ১০ থেকে ১৫ জন আহত হন।