বন্ধ হওয়ার পথে দেশের বৃহত্তম তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র পায়রা
অপূর্ব সরকার,
বিশেষ প্রতিনিধি, পটুয়াখালী।
কয়লার শেষ হওয়ায় মঙ্গলবার থেকে উৎপাদন বন্ধ হচ্ছে দেশের বৃহত্তম তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র পায়রা। ইতিমধ্যে এলসি খুলে কয়লা আমদানীর ব্যাবস্থা করা হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১ জুলাই থেকে আবার পূর্ণাঙ্গ উৎপাদনে যাবে কেন্দ্রটি।
পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট। এখানে প্রতিদিন প্রায় ১৩ হাজার মেট্রিকটন কয়লা দরকার হয়। বৈশ্বিক মন্দায় চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত কয়লা আমদানীতে ৩৯০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া পরে। বকেয়া পরিশোধ করতে না পারায় সংশ্লিস্ট প্রতিষ্ঠান সরবরাহ বন্ধ করে দিলে কয়লা সংকটে গত ২৫ মে বন্ধ হয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিটের উৎপাদন। জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমে যাওয়ায় দেশব্যাপী শুরু হয় লোডশেডিং। প্রায় ৪৫ শতাংশ বিদ্যুৎ ঘাটতিতে তীব্র গরমের মধ্যে দিনের অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ না পেয়ে নাকাল সাধারন মানুষ। জনজীবনে নেমে আসে চরম অস্বস্তি।
সদর রোডের ব্যাবসায়ী সুবল কর্মকার বলেন, দিনের মধ্যে ৮ থেকে ১০ বার লোডশেডিং হয়। এই গরমের মধ্যে প্রতিবার এক থেকে দেড় ঘন্টা লোডশেডে আমরা খুবই কষ্টে আছি।
সময়মত আমদানী করতে না পারায় যে পরিমান কয়লা অবশিষ্ট রয়েছে তা দিয়ে চলমান ইউনিটটি আগামী ৫/৬ জুন পর্যন্ত চালু রাখা যাবে বলে জানিয়েছেন পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (অপারেশন) শাহ আব্দুল হাসিব। তিনি আরো বলেন, এরপর যে কোন সময় দ্বিতীয় ইউনিটেরও উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও ডলার সংকটের কারনে আমাদের এলসি খুলতে একটু দেরী হয়ে যায়। এটি সাময়িক একটি সমস্যা। আগামী ২৫ জুনের মধ্যে কয়লাবাহী জাহাজ আমাদের জেটিতে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
জাহাজ আসার ৩/৪ দিনের মধ্যে কয়লা আনলোড করে আগামী ১ জুলাইের মধ্যে ইউনিটগুলো চালু করতে পারবো।