পটুয়াখালীতে আগুনে পুড়িয়ে গৃহবধু ও শিশু হত্যার চেষ্টা
অপূর্ব সরকার,
বিশেষ প্রতিনিধি,পটুয়াখালী।
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় প্রকাশ্য দিবালোকে এক গৃহবধুর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে দূর্বৃত্তরা। এ সময় আগুনে ঝলসে গেছে গৃহবধুর ছয় মাস বয়সী শিশু সন্তান।
৮ জুন ( বৃহস্পতিবার ) বিকেলে উপজেলার নূতন বাজার সংলগ্ন শাহজাহান মুন্সির (দারোগা) ভাড়াটে বাসায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। আগুনে হালিমা আক্তার মীম নামের ওই গৃহবধুর হাত বুক, পেটসহ শরীরের আশি শতাংশ এবং তার সন্তান ওয়ালিফ হোসেন জিসানের শরীরের আংশিক ঝলসে গেছে। তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
মীম উপজেলার দুমকী সাতানি গ্রামের জামাল হোসেন প্রিন্সের স্ত্রী। চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে তারা শাহজাহান দারোগার ভাড়াটে বাসায় বসবাস করছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী জাহাঙ্গীর হোসেন মাষ্টার এবং অন্যান্য স্থানীয়রা জানান, দুপুরের খাবার খেয়ে সবাই যে যার বাসায় বিশ্রাম করছিলেন। হঠাৎ প্রতিবেশী নতুন ভাড়াটে বাসায় চিৎকার শুনে ছুটে গিয়ে বাইরে থেকে দরজার ছিটকানী বন্ধ দেখতে পান। ভেতরে ঢুকে অগ্নিদগ্ধ মিমকে হাত, পা, মুখ বাঁধা ও জিসানকে আগুনে ঝলসানো অবস্থায় উদ্ধার করেন। মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা মীমের হাত, পা, মুখ বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে বাসার দরজা বন্ধ করে পালিয়েছে বলে জানা গেছে। উদ্ধারের পর দগ্ধ মিমকে হায় স্বামী হায় স্বামী বলে মুর্ছা খেতে দেখেছেন তারা। ঘটনার সময় স্বামী প্রিন্স বাসায় ছিল না বলে জানান তারা।
মীমের স্বামী জামাল হোসেন প্রিন্স জানান, দুপুরের খাবার খেয়ে তিনি কর্মস্থলে যান। হঠাৎ মোবাইলে খবর পেয়ে বাড়িতে ছুটে গিয়ে স্ত্রী সন্তানকে প্রথমে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পরে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করেন। তবে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে এ ব্যাপারে কিছু নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি।
এখনও দুর্বৃত্তদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবুল বাশার জানান, ঐ এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনাসহ আসল রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ এখনও পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সহকারী পুলিশ সুপার ( বাউফল সার্কেল) শাহেদ আহম্মেদ চৌধুরী ও দুমকী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবুল বাশার তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন।