পটুয়াখালীতে শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা পর্যায়ের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা সুসম্পন্ন
অপূর্ব সরকার,
বিশেষ প্রতিনিধি,পটুয়াখালী।
পটুয়াখালীতে দিনব্যাপী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।প্রতিযোগিতায় পটুয়াখালী সদর সহ বিভিন্ন উপজেলার সাংস্কৃতিক কর্মীরা অংশগ্রহণ করেছে। রাজধানী ঢাকায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা-২০২৩। জাতীয় পর্যায়ে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনের লক্ষ্যে দেশব্যাপী জেলা পর্যায়ে বাছাই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকারীরা অংশগ্রহণ করতে পারবে জাতীয় পর্যায়ের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায়।
শুক্রবার (১৬ জুন) পটুয়াখালী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে জেলা পার্যায়ের বাছাই প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার কাজী মোঃ কামরুজ্জামান এর সঞ্চালনায় পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক যাদব সরকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা মানস কান্তি দত্ত, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ও পটুয়াখালী প্রেস ক্লাবের সভাপতি স্বপন ব্যানার্জী, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম প্রিন্স প্রমূখ।
উপস্থিত অতিথিবৃন্দ বলেন, দেশকে মাদক,সন্ত্রাস ও জঙ্গি মুক্ত রাখতে সাংস্কৃতিক বিপ্লবের কোন বিকল্প নেই। শিল্পকলার এই উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। পড়াশুনার পাশাপাশি বাচ্চাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নিয়ে আসার কথা বলেছেন বক্তারা। তারা বলেন, শিক্ষিত হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরী। আর মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সাংস্কৃতিক চর্চার কোন বিকল্প নেই।
প্রতিযোগিতায় খ বিভাগে আবৃত্তিতে প্রথম স্থান অধিকারী পূর্ণতা বিনতে মুজাহিদ বলেন, অনেক ভালো লাগছে আমার। আমি আবৃত্তিতে প্রথম হয়েছি, এরপরে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবো। আমি সকলের কাছে দোয়া চাই।
জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার কাজী মোঃ কামরুজ্জামান জানান, আজ দিনব্যাপী জেলা সাংস্কৃতিক বাছাই প্রতিযোগিতায় ৩ টি বিভাগের ৪ টি বিষয়ে প্রায় ১৫০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছে। এদের মধ্যে থেকে প্রতি বিষয়ের উপর প্রথম স্থান অধিকারী জাতীয় পর্যায়ে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। সম্ভবত খুব শীঘ্রই জাতীয় প্রতিযোগিতার তারিখ নির্ধারণ করা হবে।