চৌদ্দগ্রাম এ অটো চালকের মরদেহ উদ্ধার।
মোঃ ঈমাম হোসেন ভূইয়া।
গতকাল শনিবার বেলা ১০ টায় চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার হায়দারপুল এর দক্ষিণ পাশে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে রোডের পূর্ব পাশে অজ্ঞাতনামা এক অটোচালকের মৃতদেহ পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের আমন গন্ডা গ্রামের অটোচালক মোঃ রুবেল হোসেন সুমনের একমাত্র পুত্র সন্তান শিমুল (১২ বছর) সে অটো চালাতো। তার বাবার সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টায় সে তার বাবার হাতে একটি এন্ড্রইড মোবাইল সেট দিয়ে ঘর থেকে ফটো চালানোর জন্য বিদায় নিয়ে আসে। এরপর থেকে অটোচালক শিমুল কে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্যে তার বাবা পুত্রকে খোঁজ করতে করতে না পেয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। অবশেষে আজ শনিবার সকাল ১০ টায় এলাকার লোক শিমুলের অর্ধগলিত মৃতদেহ যথাস্থানে নর্দমায় ভেসে উঠতে দেখে পুলিশে খবর দেয় এবং সেখানে এই মৃতদেহটি এক নজর দেখার জন্য হাজার হাজার লোকের বীড় জমে। খবর পেয়ে শিমুলের বাবা ওমা ছুটে আসেন এবং সন্তান হারানোর বেদনায় কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরবর্তীতে বেলা ১২ টায় চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমার নেতৃত্বে চৌদ্দগ্রাম থানার পুলিশ উপস্থিত হয়ে মৃতদেহটি থানায় নিয়ে আসেন।
উপস্থিত ক্ষেত্রে আমরা শিমুলের বাবা মোহাম্মদ রুবেল হোসেন সুমনের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জানতে পারি। রুবেল বললেন শিমুল থেকে অটোরিকশাটি ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার জন্য শিমুল কে হত্যা করে রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে ছিনতাইকারীরা তার থেকে অটোরিকশাটি নিয়ে যায়।
এ সময় মৃত শিমুলের পিতা ও মাতা কে সন্তান হারানোর বেদনা কান্না করতে দেখা যায়। এছাড়াও স্থানীয় লোকদের অভিমত চৌদ্দগ্রাম বাজারের দক্ষিণ পাশে প্রায় সময় অটো এবং সিএনজি ছিনতাই হয় তাই স্থানীয় লোকদের অভিমত এখন থেকে বাজারের দক্ষিণ পাশে সন্ধ্যার পরে যেন হাইওয়ে পুলিশ ও চৌদ্দগ্রাম থানার পুলিশের টহল জোরদার করা হয়।