পটুয়াখালী-৩ আসনে আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করে গণসংযোগ করছেন বাবুল চৌধুরী
অপূর্ব সরকার,
বিশেষ প্রতিনিধি, পটুয়াখালী।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী ৩ গলাচিপা দশমিনা আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করে এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছেন মাহমুদ হোসেন বাবুল চৌধুরী। মঙ্গলবার দুপুরে গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের খারিজ্জমা ডিগ্রী কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে আওয়ামী লীগের পক্ষে নৌকা প্রতিকে ভোট চেয়ে গনসংযোগ শুরু করেন। এ সময় তার সঙ্গে কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক মোটরসাইকেল সহযোগে শোডাউনে অংশ নেন। তিনি নির্বাচনী এলাকা গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সাধারন মানুষের কাছে আওয়ামী লীগ সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে লিফলেট বিতরন করেন এবং এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থীকে আবারও নির্বাচিত করার জন্য অনুরোধ জানান। এর পাশাপাশি এবারের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের একজন মনোনয়ন প্রার্থী বলে জনসাধারনকে অবহিত করেন।
খারিজ্জমার বাসিন্দা রাসেল ও আরিফ সরদার বলেন, বাবুল চৌধুরি দির্ঘদিন আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত আছেন দলের নেতাকর্মীদের স্নেহ করেন তার মধ্যে কখনও খারাপ কিছু দেখিনি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন চাওয়ার ঘোষনা দিয়েছেন। আমরা তার সাথে আছি। নেত্রী যদি তাকে মনোনয়ন দেন তাহলে বিজয় সুনিশ্চিত।
কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক রেজভী চৌধুরি বলেন, তিনি একজন ত্যাগী নেতা। এই এলাকার উন্নয়নে তিনি আগেও অগ্রনী ভুমিকা রেখেছিলেন ভবিষ্যতেও রাখবেন। তার জনপ্রিয়তা ঈর্ষনীয়।
বাবুল চৌধুরি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। এই নির্বাচন বানচাল করাসহ আওয়ামী লীগ যাতে পুনরায় ক্ষমতায় না আসতে পারে সেজন্য একটি মহল চক্রান্ত শুরু করেছে। এই চক্রান্ত রুখতে প্রবীন রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রয়োজন। তাই তিনি পটুয়াখালী ৩ আসনের হাল ধরতে চান। তার গনসংযোগ ও প্রচারনা অব্যাহত থাকবে। দলের সভানেত্রী বর্তমান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা চাইলে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করে এই আসনে বিজয় লাভ করে তাকে উপহার দেবেন।
৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে অগ্রনী ভূমিকা পালনের মধ্যে দিয়ে তার রাজনৈতিক জীবনে হাতে খড়ি হয়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পটুয়াখালী সেক্টর কমান্ডারের সরাসরি তত্ত্বাবধানে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন, বাকেরগঞ্জ থানা মুক্ত ও পটুয়াখালী থানার অস্ত্র লুটে সঙ্গী ছিলেন। ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের দাবিতে রাজপথে প্রতিবাদ কর্মসূচি চালাতে গিয়ে অমানবিক হামলা মামলা ও জুলুমের শিকার হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৯ থেকে ৮২ সালে তিনবার ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে বঙ্গবন্ধু পরিষদ কল্যাণ সমিতি ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ প্রতিষ্ঠা করেন।
Leave a Reply