পটুয়াখালীতে মলম ও অজ্ঞান পার্টির প্রধান সহ ৩ জন গ্রেফতার
অপূর্ব সরকার,
বিশেষ প্রতিনিধি, পটুয়াখালী।
পটুয়াখালীতে চেতনানাশক দিয়ে সর্বস্ব লুট করা চোর চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিং করেন পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুল ইসলাম।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন মোঃ রাশেদুল মৃধা (৩২), মোঃ মাহাতাব হোসেন মৃধা (৩৯), রতন কর্মকার, (৩৪)।
পুলিশ সুপার বলেন, ব্যাপক প্রযুক্তিগত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণের মাধ্যমে তদন্তকারী দল পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার পূর্ব ভাওয়ালিয়া এলাকা থেকে মোঃ মাহাতাব হোসেন মৃধাকে গ্র্রেফতার ও চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। তদন্ত প্রক্রিয়া ও ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে, একপর্যায়ে, সে পটুয়াখালীর দুমকি থানাধীন, উত্তর মুরাদিয়া গ্রামসহ, পটুয়াখালী সহ বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন জায়গায় চেতনানাশক প্রয়োগ করে ঘর থেকে চুরির বিষয়ে নিজের সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করেন এবং চক্রের অপরাপর সদস্যদের নাম প্রকাশ করেন । পরে তাকে বিধি মোতাবেক আদালতে প্রেরন করা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
মোঃ মাহাতাব হোসেন মৃধার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির সূত্র ধরে ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে গলাচিপা থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় বিশেষ অভিযানিক দল তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে চক্রের মূল হোতা মোঃ রাশেদুল মৃধা (৩২)কে গলাচিপা রাঙ্গাবালী নৌপথের বোয়ালিয়া থেকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে, মোঃ রাশেদুল মৃধা এঘটনা সহ বিভিন্ন ঘটনায় চেতনানাশক প্রয়োগ করে চুরির সাথে নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করেন এবং পটুয়াখালী থানাধীন, কালিকাপুরে তাহার বসতঘরে উক্ত চুরিসমূহের কাজে ব্যবহৃত চেতনানাশক ওষুধ এবং চোরাই মাল গচ্ছিত আছে বলে স্বীকার করলে অভিযানিক দল সদর থানা পুলিশের সহায়তায়, তাহার বাসায় অভিযান পরিচালনা করে তার দেখানো মতে, বিপুল পরিমান বিভিন্ন চেতনানাশক ঔষধ,চেতনানাশক গুড়া, চেতনানাশক সলিউশন, ঘর ভাঙ্গার যন্ত্রপাতি, চোরাই কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন মডেলের মোবাইল ও সিম, চোরাই স্বর্ণ ,চুরির কাজে ব্যবহৃত খেলনা পিস্তল , চোরাই স্বর্ণ মাপার ডিজিটাল মেশিন, চুরির কাজে ব্যবহৃত বিশেষ ধরনের কালো জামা, প্যান্ট,মাঙ্কি টুপি, কালো মাস্ক , এবং বিপুল পরিমাণে চোরাই নতুন থ্রিপিস উদ্ধার করে। এছাড়া সে আন্ত জেলা চোর চক্রের অপরাপর সদস্যদের নাম প্রকাশ করলে, চোরাই স্বর্ণ কেনাবেচার সাথে জড়িত তার দেখানো মতে রতন কর্মকারকে চোরাই মালামাল কেনাবেচার অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়।
দলের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে অভিযান চলমান আছে।
Leave a Reply