নগরকান্দায় প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা স্বামী – স্ত্রী, বিপদে জিম্মাদার
মোঃআবিদ হুসাইন
ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার পুরাপাড়া ইউনিয়নের ব্রাহ্মণ ডাঙ্গা ও পুরাপাড়া গ্রাম থেকে বিভিন্ন কৌশলে প্রতারণার মাধ্যমে একাধিক লোকজনের নিকট থেকে প্রায় ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় ব্রাহ্মণ ডাঙ্গা গ্রামের ফুলমিয়ার ছেলে বাবু মোল্লা ( মনির) এর স্ত্রী আনজুমান ইসলাম আশা (২৫) এর বিরুদ্ধে।শাশুড়ী রেখা বেগম ও স্বামীর যোগ সূত্রে একই গ্রামের শাজাহান মোল্লার স্ত্রী শামচুন নাহার বেগম(৬৫) কে জিম্মাদার বানিয়ে কৌশলে টাকা হাতিয়ে নেয়।টাকা নিয়ে এলাকা থেকে লাপাত্তা হয়েছেন স্বামী ও স্ত্রী। জিম্মাদার শামচুন নাহার বেগম বলেন আনজুমান ইসলাম আশা সম্পর্কে আমার নাতির বউ,সে তার বাবা অসুস্থ, ভাই বিদেশে যাবে,কম দামে সোনা কিনে দেওয়ার কথা বলে আমাকে জিম্মাদার বানিয়ে ভুক্তভোগীদের লাভ লোভ দেখিয়ে টাকা নেয়।ভুক্তভোগীরা হলেন
মোঃ ওহিদুল সেখ
মৃত পিতা আব্দুল গফুর শেখ
গ্রাম পুরাপাড়া তার নিকট থেকে ৩,০০,০০০(তিন লক্ষ টাকা),
মোঃ মোতাহার মোল্লা
পিতা আজম মোল্লা
গ্রাম ব্রাহ্মণ ডাঙ্গা তার নিকট থেকে ১৫,০০০ (পনের হাজার) টাকা,
মোছাম্মদ কুলসুম বেগম
স্বামী সালাম সরদার
গ্রাম ব্রাহ্মণ ডাঙ্গা তার নিকট থেকে ৩৫,০০০ (পঁয়ত্রিশ হাজার) টাকা,
মোসাম্মৎ আমেনা বেগম
স্বামী মুক্ত সরদার
গ্রাম ব্রাহ্মণ ডাঙ্গা তার নিকট থেকে ২৬,০০০
(ছাব্বিশ হাজার) টাকা,
মোসাম্মৎ ময়না বেগম
পিতা তফসীর মোল্লা
গ্রাম ব্রাহ্মন ডাঙ্গার নিকট থেকে ৮,০০০ (আট হাজার) টাকা, মোঃ সরওয়ার মোল্লা
পিতা সামাদ মোল্লা
গ্রাম ব্রাহ্মন ডাঙ্গার নিকট থেকে ১২,০০০ (বার হাজার) টাকা,
মোঃ শফিকুল ইসলাম
পিতা শাজাহান মোল্লা
গ্রাম ব্রাহ্মণ ডাঙ্গার নিকট থেকে ২,৫০,০০০ (দুই লক্ষ ৫০ হাজার) টাকা,
মোঃ শওকত মোল্লা
পিতা শাজাহান মোল্লা
গ্রাম ব্রাহ্মন ডাঙ্গার নিকট থেকে ৪,০০০০০ (চার লক্ষ) টাকা, মোঃ শাহজাহান মোল্লা
পিতা সামাদ মোল্লা
গ্রাম ব্রাহ্মণ ডাঙ্গার নিকট থেকে ৩,০০০০০ (তিন লক্ষ) টাকা নেয়। এছাড়া
ব্র্যাক- থেকে কিস্তি
চাঁদ হাত শাখা মাধ্যমে শাজাহান মোল্লা ৭০,০০০ (শত্তুর হাজার) টাকা,
মোছাম্মদ পারভিন আক্তার
স্বামী শফিকুল ইসলাম
গ্রাম ব্রাহ্মণ ডাঙ্গার নিকট থেকে ৬৫,০০০ হাজার টাকা সহ প্রায় ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে এলাকা থেকে পালিয়ে আছে।
মোছাম্মৎ শামসুন্নাহার বেগম (৬৫) কে জিম্মাদার বানিয়ে প্রতারক স্বামী বাবু ( মনির মোল্লা) স্ত্রী আশা আক্তার টাকা নিয়ে তার বাবা আইনুল ইসলামকে এবং শশুর ফুলুমিয়াকে দেয়।প্রতারক চক্র টাকা নিয়ে এলাকা থেকে লাপাত্তা হওয়ায় ভুক্তভোগী পাওনাদাররা টাকার জন্য জিম্মাদারের বাড়িতে প্রতিনিয়ত আসছে এমনকি টাকার জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করছেন বলে জিম্মাদার শামসুননাহার বেহম বলেন।তিনি আরও বলেন পাওনাদারদের ভয়ে নিজেও পালিয়ে থাকতে হয়।এবিষয়ে ভুক্তভোগী অনেকেই বলেন অত শত বুঝি না জিম্মাদারের কথায় আমরা টাকা দিয়েছি তার কাছেই আমরা টাকা নিব।এবিষয় অভিযুক্তদয়দের ফোন বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।
Leave a Reply