চুয়াডাঙ্গায় স্কুলছাত্রীকে শীলতাহানির ঘটনায় শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ
বায়েজিদ জোয়ার্দার
চুয়াডাঙ্গায় দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শীলতাহানির ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এর ইংরেজি সহকারী শিক্ষক শাকিল আরাফাত( ৩৫) এর বহিষ্কার ও শান্তির দাবিতে মানববন্ধন অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার ১৯ শে সেপ্টেম্বর সকাল ১০ঃ০০ টায় বিদ্যালয় এর সামনে মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। আবার বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিদ্যালয়ের গিয়ে শেষ হয়।
এই সময় বিক্ষিপ্ত শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষক শাকিল আরাফাতের বহিষ্কার ও শাস্তির দাবি নিয়ে স্লোগান দিয়ে থাকে এবং শিক্ষকের অপকর্ম ফাঁস করতে থাকে।
এই ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর বিকালে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার শেখ পাড়ার ভাড়াবাসা থেকে অভিযুক্ত শিক্ষকের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত শাকিল আরাফাত ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার পলাশপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি সহকারী শিক্ষক শাকিল আরাফাতের কাছে তার ভাড়া বাসায় প্রাইভেট পড়তো একই স্কুলের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী। সকালে প্রাইভেট পড়ে আসার সময় অভিযুক্ত শিক্ষক ভুক্তভোগী ছাত্রীকে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীদের কিছু খাতা দেখিয়ে দেওয়ার জন্য সকাল সাড়ে ছয়টায় আসতে বলেন। ওই ছাত্রী শিক্ষকের কথামতো সকালে তার বাসায় যাই। সকালে বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে ছাত্রীকে তার বেডরুমে নিয়ে শিলতাহানির চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী প্রতিরোধ সৃষ্টি করে শিক্ষককে ধাক্কা দিয়ে ফেলে ঘর থেকে বেরিয়ে পালিয়ে আসে। পরে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষক শাকিল আরাফাত কে গ্রেফতার করেন।
ঘটনা তদন্তে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তারকে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক দিল আরা চৌধুরী বলেন আমি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর কাছে থেকে লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করেছি। এই ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন শিলতাহানির ঘটনার মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের গ্রেফতার করা হয়েছে।
সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ডঃ কিসিঞ্জার চাকমা বলেন ইতিমধ্যে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।আমরা বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছি এর সঠিক বিচার নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply