চুয়াডাঙ্গা- ঝিনাইদহ সড়কের যাত্রী ছাউনিগুলো অযত্ন ও অবহেলায় কারণে ভেঙ্গে পড়েছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:
বায়েজিদ জোয়ারদার
চুয়াডাঙ্গা- ঝিনাইদহ সড়কের বাজারে যাত্রী উঠা-নামার বাস স্টপেজ যাত্রী ছাউনিগুলো অযত্ন ও অবহেলায় যাত্রী ছাউনি ভেঙে পড়েছে। যাত্রীছাউনির সামনে বৃষ্টি পানি জলাবদ্ধতা দুগন্ধ আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে একাকার হয়ে আছে । যাত্রীছাউনিগুলো দখল করেছে নিয়েছে কবিরাজ হকার পোষ্টার অবৈধ যান চালকরা। নেই কোনো এর প্রতিকার ও মেরামত করণীয় সহ উচ্ছেদ ব্যবস্থা।
জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে প্রায় ৩২বছর আগে চুয়াডাঙ্গা ঝিনাইদহ সড়কে বাস স্টপেজ স্থানে আধুনিক যাত্রীছাউনি নিমার্ণ করে। দীর্ঘদিন ধরে যাত্রীছাউনিগুলো অযত্ন অবহেলায় এবং সংস্কার না করায় সেখানে সাধারণ মানুষ যায় না। এ ছাড়া যাত্রী ছাউনিগুলোর সামনের সড়কে
অবৈধ গাড়ি পার্কিং করে দখল করে রাখার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তাই নির্ধারিত স্থানে বাস থামানো যায় না বলে অভিযোগ করেন পরিবহণ বাস চালকরা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, চুয়াডাঙ্গা সড়কের ডিঙ্গেদহ যাত্রীছাউনির সামনে বৃষ্টির পানি জলাবদ্ধতা হয়ে পড়েছে। ভেতরে মাদকসেবীর থাকা নোংড়া বিছানা। স্থানীয় ভূমিদুস্য ছাউনির কিছু অংশ দখল করে পাকা ঘরের সাথে ছাদ ঢালায় সহ দরজা লাগিয়ে বসেছে। তাছাড়া মেশিনারী ভাংড়িদের ট্রাক্টর সহ পাখিভ্যান রেখে দখল করে নিয়েছে। যার কারনে এখানে বাস পরিবহণ থামে না। বাস পরিবহণ ডিঙ্গেদহ
চৌরাস্তা মোড়ে যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়।
জরুলি ভাবে এ যাত্রীছাউনিটি দখল মুক্ত করা দরকার। পাশাপাশি ছাউনিটি নতুন করে সংস্কার করা হলে সাধারণ যাত্রীরা নিরাপদে বাসে ওঠে তাদের নিজ নিজ এলাকায় যেতে পারবে বলে স্থানীয়রা জানায়।
পাচমাইল বাজার যাত্রীছাউনির ভেতরে
কবিরাজি নোংড়া ভাষার পোষ্টার শাটানো হয়েছে। এখানে ময়লা আবর্জনা ছড়িয় রয়েছে। যাত্রীছাউনির ছাদ ধ্বংস দেখা দিয়েছে। অতি জরুলি ভাবে সংস্কার করা দরকার। যাত্রীছাউনির সামনে আন্তঃজেলা বাসগুলো থামে না। বালিয়াকান্দি সড়কের পাশে দাড়িয়ে যাত্রী উঠা-নামানো করে।
ভুলটিয়া বাজার যাত্রীছাউনির দখল কেন্দ্র করে একটি সচিত্র প্রতিবেদক প্রকাশিত হলেও এখনো দখল মুক্ত হয়নি। হাসানহাটির চুন ব্যবসায়ী গোবিন্দ তার চুন বেচাকেনা নোংড়া চটকাপড় ফেলে রেখেছে। যাত্রীছাউনির ভেতরে দুগন্ধ, বিভিন্ন পচাসহ বিভিন্ন আবর্জনা ছড়িয়ে রয়েছে। ছাদ দেয়াল ওপর বনজঙ্গল বেয়ে ওঠেছে। যাত্রীছাউনির ভেতর যাত্রীদের বসা জায়গায় ভেঙ্গে পড়েছে। দ্রুত সংস্কার করার দরকার। তাছাড়া স্থানীয় পাথি ক্যাডারা তাদের মোটরবাইক যাত্রীছাউনির ভেতর রেখে প্রতিনিয়ত দখল করেছে। হাসানহাটির কয়েজন পাখিভ্যান আলমসাধু চালকরা যাত্রীছাউনি দখল করে তাদের অবৈধ যান রেখে দিয়েছে।
ভুলটিয়া হাসানহাটি এলাকার কয়েকজন নাম প্রকাশে শর্তে জানায়, বৃষ্টির সময়ে যাত্রীছাউনির ভেতর সাধারণ মানুষ বসতে পারে না। হাসানহাটি সহ এলাকার কিছু পাখিভ্যান চালকদের কারনে । বৃষ্টিপাত শুরু হলে যাত্রীছাউনির মধ্যে অবৈধ যান রেখে দখল করে নেয় দানব ভ্যান চালকরা। স্কুল শিক্ষার্থী ও সাধারণ যাত্রীরা বৃষ্টি সময় যাত্রী ছাউনির ভেতর বাসের জন্য অপেক্ষা করলে তাদেরকে উক্তক্ত্য করা হয় বলে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। তাছাড়া যাত্রীছাউনির একটি সংবাদ পত্রিকা প্রকাশিত হলে হাসানহাটির চুনব্যবসায়ী গোবিন্দ ও কিছু সব্জি ব্যবসায়ীরা প্রতিবেদকে গালাগালি করে।
সচেতন মহল বলছে, ভুলটিয়া যাত্রী ছাউনির দখল মুক্ত ও যাত্রী ছাউনির ভেতর থেকে আবর্জনা পরিষ্কার করা হলে আগের মত সাধারণ আবারো এখন থেকে বাসে উঠবে। বদরগঞ্জ যাত্রীছাউনির দেয়াল ছাদ পরিস্কার দেখা গেলেও যাত্রী ছাউনির অবস্থা খুবই খারাপ। ছাউনির ছাদে ময়লা-আবর্জনা সৃষ্টি হয়ে চারিদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে। যাত্রীছাউনির সামনের জায়গা দীর্ঘদিন ধরে দখল করে নিয়েছে এলাকার অটোবাইক চালকরা। যাত্রী বাসা জায়গায় বহিরাগত যুবকরা বসে প্রকাশ্যে ধুমপান করা ও অকথ্যভাষা ব্যবহার করার কারণে যাত্রীরা সাধারণত ওদিকে যায় না। সামনে যে বাস পায় সেটাতে উঠে যায়।’ বদরগঞ্জ বাজার কর্তৃপক্ষ যাত্রী ছাউনিটি দখল মুক্ত ও পরিষ্কার করা হলে স্কুল কলেজ বহিরাগত সাধারণ যাত্রীরা এখন থেকে বাসে উঠে দুইপ্রান্তে যেতে পারবে।
উল্লেখ্য,১৯৮৯ সনের দিকে চুয়াডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গা বদরগঞ্জ সড়ক, আলমডাঙ্গা ও জীবননগর সড়কে প্রায় ২০টি যাত্রী ছাউনী পুশিলের মতামতের ভিত্তিতে নির্মাণ করা হয়েছিলো। সেগুলো বেশীর ভাগের যথাযথ স্থানে। দীর্ঘদিন ধরে এ যাত্রীছাউনিগুলো সংস্কার না করার ফলে এ জরাজনিত।