চাঁদপুর ২৫০শয্যা জেনারেল হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কেবিনে প্রভাবশালীরা চিকিৎসা নেয়। জাহিদ হোসেন স্টাফ রিপোর্টার মুক্তিযোদ্ধা টিভি। চাঁদপুর ২৫০শয্যা জেনারেল হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কেবিনে প্রভাবশালীরা চিকিৎসা নেয়। গত ২৮/০৯/২০২৩ তারিখে (রোজ বৃহস্পতিবার) চাঁদপুর ২৫০শয্যা সদর হাসপাতালে অসুস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধার জন্য হাসপাতালে অসুস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রতিটি হাসপাতালে একটি অথবা দুটি করে কেবিন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। সেই কেবিন নিয়ে রাজনৈতিক কিছু প্রভাবশালী এবং হাসপাতালে কর্তৃপক্ষরা তাদের ইচ্ছে মতো ব্যবসা শুরু করে। ২৫০ শয্যা হবার পরেও যার সুযোগ সুবিধা পায়নি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তার পরিবারজনরা। সরকার সূর্য সন্তানদের চিকিৎসা নেওয়ার জন্য দুটি কেবিন বরাদ্দ দেওয়া হয় তাতে চিকিৎসা নেয় আউট লোক এবং প্রভাব খাটিয়ে বাইরের লোক। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারদের চিকিৎসা নিতে হয় সাধারণ মানুষের মতো হাসপাতালের ফ্লোরের মাঝে। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী খুবই অসুস্থ অবস্থায় তাকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার সন্তান জরুরী বিভাগে। কিন্তু জরুরী বিভাগের ডিউটি কালীন একজন চিকিৎসক ফাইলে সিল দেওয়ার পর হাসপাতালে নার্সের কাছে মুক্তিযোদ্ধাদের কেবিন চাইলে তারা মুখের উপর বলে দেয় কেবিন খালি নেই। চাঁদপুর সদর রামদাসদী বীর মুক্তিযোদ্ধা সুধাংশ কড়ের সন্তান স্বপন কর গোপনে তদন্ত করে দেখেন মুক্তিযোদ্ধাদের কেবিন প্রভাবশালীদের দখলে। এই ঘটনা দেখে তাদের মাথায় রক্ত উঠে যায়। তখন মুক্তিযোদ্ধা টিভির সাংবাদিককে ফোন করে স্বপন কর। সে অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধা টিভি স্টাফ রিপোর্টার হাসপাতালে ছুটে আসেন এবং গোপনে ভিডিও ধারণ করে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের নিকট এই ভিডিও পৌছে দেওয়া হয়। চাঁদপুর জেলা কমান্ডার এম এ ওয়াদুদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কেবিনে প্রভাবশালীদের দখল দেখে তিনি রেগে যান। চাঁদপুর সদর উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধারে কার্যালয়ের সচিব সুমন সরকার জয় এবং মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের সন্তানদের সঙ্গে করে রবিবার দিন হাসপাতালে ছুটে আসেন। যুদ্ধহত বীর মুক্তিযোদ্ধা জেলা কমান্ডার সরেজমিনে গিয়ে দেখেন কেবিনে আউট লোক চিকিৎসা নিচ্ছে ,তখনই বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান এবং বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলেন এ অন্যায় কখনো মেনে নেওয়া যায় না। জেলা কমান্ডার হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ ও সকলকে ডাকেন এবং জাতীর সূর্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের সন্তানরা হাসপাতালে আন্দোলন শুরু করেন। তারা আন্দোলনের মুখে বলেন আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের চিকিৎসা পাচ্ছি না হাসপাতালে। অন্যায়ভাবে তারা ব্যবসা শুরু করছে এটা কখনো মেনে নেওয়া যায় না । যখন মুক্তিযোদ্ধা সন্তানরা মুক্তিযোদ্ধারা রেগে যায় তখন জেলা কমান্ডার তাদেরকে শান্ত হতে বলেন। আন্দোলন যখন চাঙ্গা হয়ে যায় ঠিক তখনই চাঁদপুর সদর হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ এসে জেলা কমান্ডারের নিকট ক্ষমা চায়।এমন ভুল কাজ আর কখনো হবে না এবারের জন্য আপনি ক্ষমা করে দিন। যুদ্ধহত বীর মুক্তিযোদ্ধা জেলা কমান্ডার কঠিন হুঁশিয়ার দিয়ে বলেন আগামীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কেবিনে মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ছাড়া আউট লোক প্রবেশ করা যাবে না। আমি কখনো প্রমাণ পেলে আইনু ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।