হাইমচরে এতিমদের জন্য আনা দুম্বার মাংস নেতাদের রান্না ঘরে। এ-ই নিয়ে এলকায় তোলপাড়।
হাইমচর প্রতিনিধিঃ
হাইমচর উপজেলার গরীবদের বিতরণের জন্য সৌদি সরকার দুম্বার মাংস সাহায্য স্বরূপ প্রদান করে।
সেই কাংক্সিক্ষত দুম্বার মাংস জেলার প্রথম সারির কিছু নেতা এবং দ্বিতীয় সারির কিছু নেতারা ও গ্রাম্য কিছু অসাধু জনপ্রতিনিধিরা মিলে ভাগ-বাটোয়ারা করে নিজেরা ভক্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ফলে উক্ত কাঙ্খিত দুম্বার মাংস প্রকৃত গরীব-দুঃখী মানুষের মাঝে বিতরণ করা সম্ভব হয়নি, এমনকি জেলার সরকারী শিশু পরিবারের এতিমদেরও দেওয়া হয়নি। এতে জেলার সাধারণ জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলার মানুষের মধ্যে এ নিয়ে কানাঘুষা বলছে।
জানা গেছে যে হাইমচর থেকে ৫০ কার্টন দুম্বার মাংস ভাগ বাটোয়ার নামে লুট পাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার উপজেলা পরিষদ থেকে ওই মাংস ভাগ বাটোরা করে দেয় ইউনিয়ন পরিষদ গুলোতে কিন্তু সেই ভাগ বাটার নামে দুম্বার মাংস গুলো এতিমদের না দিয়ে নিজেরাই ভাগ্যটোবা করে নেন।
অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে মাংস না পেয়ে গরীব অসহায় সহ এতিম শিশুরা ফিরে যায়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, হাইমচরে এতিমদের মধ্যে বিতরণের জন্য ৫০ কার্টন দুম্বার মাংস বরাদ্দ দেওয়া হয়।
পিআইওর কার্যালয় থেকে তালিকা করে উপজেলার ৬ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের মাধ্যমে এতিমখানা (শিশু) ও হাফেজিয়া মাদ্রাসার তালিকা করে বিতারনের জন্য দেওয়া হয়।
কিন্তু খোঁজ নিয়ে প্রতিটি ইউনিয়নে জানা যায় যে এই মাংস কোথাও কোন হাফিজিয়া মাদ্রাসায় বা এতিমখানায় বিতরণ করা হয়নি তবে সচেতন মহলের প্রশ্ন এই মাংস গেল কোথায়? ।
সে অনুযায়ী সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে থেকে ঘুড়ে যেতে হয় এতিম শিশুদের।
উপজেলা পরিষদে এসে দেখা যায় একদল মানুষ ভিড় করছে মাংসের জন্য কিন্তু তাদেরকে এক টুকরা মাংস দেওয়া হয়নি বলে জানান স্থানীয়রা।
হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান , আমরা মাংস যেভাবে পেয়েছি সে অনুযায়ী দিয়েছি তবে সে মাংস ঠিক ভাবে বিতরণ হয়েছে কিনা বিষয়টা আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি।