চুয়াডাঙ্গায় ক্লিনিকে আয়াকে গলা কেটে হত্যা
চুয়াডাঙ্গা পতিনিধিঃ
বায়েজিদ জোয়ার্দার
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের হাফিজা খাতুন( ৩০) নামে এক আয়াকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
অদ্য ২৭ শে জানুয়ারি ২৪ ইং রাত সাড়ে ৮টার দিকে পৌর এলাকায় মা নার্সিং হোম ক্লিনিকের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হাফিজা খাতুন ওই ক্লিনিকে আয়া হিসেবে কর্মরত ছিলেন।ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত এখনও জানা যায়নি। হাফিজার এক সহকর্মী এক নারী জানান রাতে ক্লিনিকের দ্বিতীয় তলায় হাফিজার সঙ্গে কথা বলে তৃতীয় তলায় যান তিনি।কিছুক্ষণ পর দ্বিতীয় তলায় এসে হাফিজাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখেন তিনি। কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি জানেন না।পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় রক্তাক্ত অবস্থায় হাফিজা খাতুনকে উদ্ধার করে জীবন নগর উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন সকালে নিহতের স্বামী ক্লিনিকে এসেছিল। হাফিজার সঙ্গে কোন কারণে ঝগড়া হয়। এরপরই সেখান থেকে তিনি চলে যান। ক্লিনিকের মালিক জাকির হোসেন বলেন আমি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছি। দ্বীঘ আট বছর আমার ক্লিনিকে আয়া হিসেবে কর্মরত ছিলেন হাফিজা খাতুন। আমি জেনেছি সকালে দ্বিতীয় স্বামী ক্লিনিকে এসে হাফিজার সঙ্গে কোন কারণে বগবিন্ড হয়। এরই জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারনা করছি।
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্মরত চিকিৎসক ডাঃ রাগবি হাসান বলেন হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( ক্রাইম অ্যান্ড অপস ) নাজিমউদ্দিন আল আজাদ বলেন ক্লিনিক থেকে এক নারীর মরা দেহ পাওয়া গেছে বলে জেনেছি। আমি আমার টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। এর পর জেনে বিস্তারিত বলতে পারব।
Leave a Reply