করোটিয়া বাজারে আধিপত্য বিস্তারে বীরপুসিয়া গ্রামের উপসহকারী পুলিশ পরিদর্শক সুমন শিকদারের তাণ্ডব,মুক্তিযোদ্ধা টিভির ভাইস চেয়ারম্যান মারধরের শিকার।
মোঃ মনিরুজ্জামান,ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা টিভি ::::
বিগত ৩রা ফেব্রুয়ারি শনিবার বেলা ১টার সময় মুক্তিযোদ্ধা টিভির ভাইস চেয়ারম্যান টাঙ্গাইলে অবস্থিত টাঙ্গাইল জেলার করোটিয়া বাজারে সংবাদ সংগ্রহের জন্য গেলে বীর পুশিয়ার গ্রামের কিছু উশৃংখল, সন্ত্রাসী মুক্তিযোদ্ধা টিভির ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুজ্জামান এর উপর এলো পাথারি আক্রমণ চালায়। উনাকে কিল ঘুসি মারা হয়।উনার হাতে থাকা মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা মোবাইল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পকেটে থাকা স্পাই ক্যামেরা পেন,স্মার্ট ওয়াচ ও নগদ ২৫ হাজার টাকা খোয়া যায়। ঘটনার দিন আরো জানা যায় যে বীর পুঁষিয়া গ্রামের কতিপয় উশৃংখল ও সন্ত্রাসী লোকজন যারা পুলিশের উপপরিদর্শক সুমন শিকদারের নেতৃত্বে হঠাৎ করে করোটিয়া বাজারের ব্যবসায়ী রিয়া স্টিলের স্বত্বাধিকারী মোঃ মজিবুর রহমান ও তার পুত্রকে মারধর করে মুজিবর সাহেবের দোকানে ঢুকে। ওখানে উপস্থিত ছিলেন করোটিয়া বাজারের বাজার সমতির সভাপতি, আইন সম্পাদক, ক্রীড়া সম্পাদক ও বাজারের স্থানীয় দোকানদার বৃন্দ। এস আই সুমন শিকদার প্রকাশ্যে মুজিবুর রহমানের ওপর আক্রমণ চালায়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়।
এ ব্যাপারে সংবাদ সংগ্রহের সময় বেলা একটার সময় বিরপুশিয়া র সন্ত্রাসীরা করোটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে অবস্থান নেয়, সেখানে মুক্তিযোদ্ধা টিভির ভাইস চেয়ারম্যান উপস্থিত সকলকে জিজ্ঞাসা করেন, কি হয়েছে ভাই,ভিড়ের মাঝ থেকে একজন বলে উঠে সাংবাদিককে ধর। অমনি ভিড়ের মাঝ থেকে এলোপাথারি ভাবে কিল ঘুসি মারা শুরু করে।উপস্থিত তিনজন ব্যক্তি সাহেদ, সজিব, সুজাত মনিরুজ্জামান বিদ্যুৎ কে ওখান থেকে উদ্ধার করেন। উদ্ধারকারীন সময়ে শাহেদ ও সজিব কিল ঘুসি খান।
মুক্তিযোদ্ধা টিভির সোর্স মারফত জানা যায় যে এর এস আই সুমন বাহিনী করোটিয়া বাজারে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের লক্ষে অনেক ব্যবসায়ীকে মারধর, চাঁদাবাজি করে।করোটিয়া করাতি পারা বাজারে মন্দিরের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে।এরা বিরপুশিয়া গ্রামে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। এক বছর পূর্বে করটিয়া ব্যবসায়ী মানিক সমিতি এদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে।তাছাড়া এদের বিরুদ্ধে টাংগাইল সদর থানায় অনেকেই অভিযোগ করেন, কিন্তু প্রমাণের অভাবে পুলিশ প্রশাসন কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেননি। তাছাড়া অনেক ক্ষেত্রে ভয় দেখিয়ে অথবা নাম মাত্র সালিশে বাধ্য করে অভিযোগকারির সাথে আপোষ করে নেয়।মুক্তিযোদ্ধার টিভির ভাইস চেয়ারম্যান এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল টাঙ্গাইল সদর থানায় বিগত চার তারিখে অভিযোগ দাখিল করেন। করটিয়া বাসি আজ অসহায়। তারা না পারে বলতে না পারে কিছু করতে। কে এই সুমন শিকদার? তার ক্ষমতার উৎস কি?এস আই সুমন শিকদারের পিতার নাম ইদ্রিস সিকদার, গ্রাম,বিরপুশিয়া,থানা টাঙ্গাইল, জেলা টাঙ্গাইল। পুসিয়া তার বাহিনীতে আছে কিশর গাং,তার বাহিনীর সদস্যের নাম ডন জুয়েল, খাটো জুয়েল, নাজমুল,নাসির, আদিল মিয়া, আকাশ, মমিতুল ইসলাম প্রমি,,মোটা সুজন, সিঙ্গাপুর সোহাগ (সিঙ্গাপুরে মার্ডার করে আসছে), সিএনজি ড্রাইভার শাকিল ও আরো অনেকে। এরা সকলেই টাঙ্গাইল সদর আসনের এমপি মোহাম্মদ সানোয়ার হোসেনের নাম ভাঙ্গিয়ে চলে। আসলে মাননীয় সংসদ সদস্য সানোয়ার হোসেন একজন সৎ নিষ্ঠাবান সাদা মনের মানুষ। তার কোন বাহিনী নাই। কিন্ত এরা কারা? অতিষ্ঠ করোটিয়া বাসি।ইউনিয়ন বোর্ডের সামনে ঘটনা চলাকালীন সময়ে কটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মজনু মিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভিতরে ছিলেন। এত বড় ঘটনা অথচ উনি জানতেই পারলেন না? কি আজব রহস্য? এই রহস্যের সমাধান কবে হবে? জাগ্রত সরকার বাহাদুর, জাগ্রত প্রশাসন।