মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী হয়ে এই প্রথম আলফাডাঙ্গায়
আলফাডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ
মোঃ রাজু আহমেদ
নিষ্ঠার সাথে ও আন্তরিক ভাবে দায়িত্ব পালন করবেন আপনাদের দায়িত্ব পালনের মধ্যে যেন একটি মানবিক দিক থাকে সেই ভাবে দায়িত্ব পালন করবেন এবং সেই দায়িত্ব পালনে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা, বাধা,বা কোন অযাচিত হহস্তক্ষেপ এবং অন্যায় আমি বরদাস্ত করব না।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় উপজেলা হল রুমে প্রধান অতিথি ফরিদপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য এবং মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান এই কথা বলেন।
আজ শনিবার ১৭ই ফেব্রুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তার নির্বাচিত এলাকা আলফাডাঙ্গাতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এই প্রথম আসেন এবং বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে মন্ত্রী সভায় মন্ত্রী বানিয়েছেন, এটা আমার জীবনের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের এই স্বীকৃতি বঙ্গবন্ধু কণ্যা দিয়েছেন। সেই দায়িত্ববোধ থেকে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের অভাব অভিযোগ এবং ন্যায় বিচার কে সুনিশ্চিত করতে চাই। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সর্বচ্চো মর্যাদা আমি ভোগ করেছি বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ এর মত প্রাচীনতম দলের চারটি গুরুত্বপূর্ণ মর্যাদা ভোগ করেছি, এখনো এই দলের নীতি নির্ধারনী পদের একজন সুতরাং আমি ব্যক্তিগত ভাবে আমার চাইবার, আকাঙ্খার, নিজের মনের ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠার কোন লোভ লালসা নাই।
আমার নির্বাচনী এলাকার সামগ্রিক উন্নয়নের পরিকল্পনা হাতে নিতে চাই। কি কি কাজ করলে এই এলাকার মানুষ উপকৃত হবে এবং আলফাডাঙ্গার সামগ্রিক কল্যাণে উল্লেখ যোগ্য এবং দৃষ্টান্তমূলক কাজ হবে উপজেলার বিভাগীয় দপ্তরের কর্মকর্তারা বসে পরিকল্পনা করে, সেই প্রকল্পগুলি আমার হাতে পৌছে দিবেন আমি তা বাস্তবায়ন করতে চাই আপনাদের নিয়ে। যেন মৃত্যুর পরেও মানুষ আমাকে মনে রাখে।
মন্ত্রী আরো বলেন, সাম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের সাথে যারা জড়িত ছিলেন, আশা করি সত্য আপনারা স্বীকার করবেন যে, আমি একজন প্রার্থী হিসাবে কোন কর্মকর্তাকে কোন বিশেষ সুবিধা চেয়েছি নির্বাচনের সময় সেটা কেউ বলতে পারবেন না। নির্বাচনটি অবাধ সুষ্ঠু ভাবে হয়েছে, কোন অবস্থাতেই বল প্রয়োগ করে, কেন্দ্র দখল করে এম,পি হতে চাইনি, আমি বলেছিলাম ভোট কারচুপি করে আমি এম,পি হতে চাইনি। আমার সারা জীবনের রাজনৈতিক অঙ্গিকার, যাদের জন্য রাজনীতি করি তারা ন্যায় বিচার পাক। তারা তাদের ন্যায্য অধিকার টুকু নিশ্চিত করতে পারুক সেটিই আমার কামনা।
মন্ত্রী বলেন আলফাডাঙ্গা উপজেলায় একটা উলটা ইতিহাস এবার রচিত হয়েছে, তারপরও মানুষ যেটা ভালো মনে করেছে সেটাই করেছে। আমি হেরেছি এই উপজেলায় সেটা বড় কথা মানুষ যে সুষ্ঠুভাবে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছে সেটা প্রমাণিত হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সঠিক দায়িত্ব পালন করাই সকলকে মন্ত্রী অভিনন্দন, শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানান।
মন্ত্রী বলেন উপজেলার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন কিভাবে এই উপজেলায় মাছের চাহিদা মেটানো যায় এবং আরো বেশি উৎপাদন করে দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি করা যায় সেই ব্যপারে কি কি পরিকল্পনা গ্রহণ করা যায় সেগুলি আমাকে জানাবেন। খাল বাওড় এবং বিল গুলিতে দেশীয় প্রজাতির মাছ উৎপাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন। চায়না দুয়ারী জাল সহ অবৈধ বাধনির্মাণ, কাঠা এবং অবৈধ জাল অপসারণ করতে হবে।
গরু মোটা জাত করন এবং দুগ্ধ খামার যারা করতে চান তাদের উৎসাহ দান করতে চাই। কেউ উদ্দোক্তা হলে তাদের ব্যয়ভারের ৬০ ভাগ উদ্দোক্তারা নিলে বাকি ৪০ ভাগ স্বল্পসুদে সরকারি ভাবে ব্যবস্থা করা হবে।
আলফাডাঙ্গা থানার ওসিকে মধ্যস্বত্ব দালালদের খপ্পর থেকে থানাকে মুক্ত রাখার নির্দেশ দেন মন্ত্রী এবং বলেন,
এলাকায় নানান গোলমাল গোলযোগ হলে মিমাংসা করবেন এবং কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দিবেন না ন্যায়বিচারকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে সহযোগিতা করবেন।
বঙ্গবন্ধু কণ্যা নিরলস পরিশ্রম করে এই দেশকে সাজানোর জন্য দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
তার মত নেতৃত্বকে আমরা কাজে লাগিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে দেশ ও জাতির কল্যাণে।
সামনের রমজানে যেন মধ্যস্বত্ব ভোগীদের থেকে ব্যবসায়ীও সাধারণ জনগণ নিরাপদ থাকে সে ব্যপারে মাছ-মাংস, দুধ এর মূল্য নিয়ে আমরা কাজ করব যেন জণগণের ক্রয় সীমার মধ্যে থাকে। দেশে যেন কোন কৃত্তিম সংকট তৈরি না হয় সেব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। এই দেশের জনগণ বাচলে দেশ বাচবে দেশ বাচলে আমরা সবাই ভালো থাকবো।
এর আগে আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পুলিশের একটি বিশেষ দল মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীকে গার্ড অব ওনার এবং লাল গালিচা সংবর্ধনা দেন।
সকল কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় শেষে মন্ত্রী উপজেলার কাতলাসূর ও যোগীবরাটে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পে যান এবং সেখানের অসহায় দুস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমীন ইয়াসমিন, ভূমি কর্মকর্তা রজত্ব বিশ্বাস, বাংলাদেশ আওয়ামিলীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য তাহিদুর রহমান মুক্ত, জেলা আওয়ামিলীগের সদস্য মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।