পটুয়াখালীতে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের জন্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন
অপূর্ব সরকার,
বিশেষ প্রতিনিধি,পটুয়াখালী।
মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা সমুন্নত রাখার জন্য ভাষা শহীদদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকে স্মরণ করে আগামীকাল বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪ পালিত হবে।
১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায়, বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালিত হবে।ভাষা আন্দোলনের সেই বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পটুয়াখালী জেলার শেখ রাসেল শিশু পার্ক সংলগ্ন ঝাউতলা মাঠের স্বাধীনতা চত্বরে খালি পায়ে 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি' গাইতে গাইতে হাতে ফুল নিয়ে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানাবে আজ রাত ১২:০১ মিনিটে। দিবসটি উপলক্ষে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে ফেব্রুয়ারি ২০ তারিখ সকাল ১১:০০ মিনিটে শিশুদের চিত্রাংকন, ছড়া ও কবিতা পাঠের প্রতিযোগিতা হয় শিশু একাডেমি তে। বিকাল ০৩:৩০ মিনিটে একুশে বইমেলা'র শুভ উদ্বোধন করা হয় ডিসি স্কয়ার মাঠে। রাত- ১২:০১ মিনিটে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য স্বাধীনতা চত্বর এ পুষ্পস্তবক অর্পণ শহিদ মিনারে।ফেব্রুয়ারী ২১সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে অর্ধনমিত রাখা হবে। সুবিধাজনক সময়ে ভাষা শহিদদের রুহের মাগফেরাতের জন্য মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে দোয়া ও প্রার্থনা করা হবে।বিকাল ০৪:৩০ মিনিট ভাষা আন্দোলনের শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে ডিসি স্কয়ার মাঠে। বিকাল ০৫:৩০ মিনিট শিশুদের চিত্রাংকন, ছড়া ও কবিতা পাঠ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা।ফেব্রুয়ারি ২১ তারিখ থেকে ফেব্রুয়ারি ২৯পর্যন্ত (সন্ধ্যা ০৬:০০ টা হতে রাত ৮.০০ টা পর্যন্ত প্রতিদিন) সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে ডিসি স্কয়ার মাঠে।
জেলা প্রশাসক নুর কুতুবুল আলম বলেন বাঙালি জাতির ইতিহাসে ভাষা আন্দোলন অত্যুজ্জ্বল এক গৌরবময় অধ্যায়। বাঙালির জাতীয় চেতনা সুসংহত করা, বাঙালি সংস্কৃতির স্বকীয়তা শনাক্ত করা, সর্বোপরি বাঙালিকে আত্মপরিচয়ের অনুসন্ধানে কৌতুহলী করে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এই জাতির স্বাধীনতা অর্জন, এই সবকিছুরই বীজ বপিত হয়েছে ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সালে ভাষার জন্য রক্তদানের মধ্য দিয়ে।ভাষা আন্দোলন সংগঠিত করার ক্ষেত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রয়েছে অসামান্য অবদান। আজন্ম মাতৃভাষাপ্রেমী বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনের সূচনাপর্ব থেকে শেষ পর্যন্ত ছিলেন সক্রিয়।
ভাষা আন্দোলনে শুধু বাঙালির ভাষার দাবিই অর্জন হয়নি, বরং এটি সারা বিশ্বের সকল নাগরিকের সত্য ও ন্যায়ের অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রেরণার উৎস। তিনি আরো বলেন জেলা প্রশাসন এর সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে,শহীদ মিনারে প্রথমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন এরপর সাধারণ মানুষের জন্য এটি উন্মুক্ত করা হবে।
অন্যদিকে, পটুয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার সাইদুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম জানান নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে এলাকাটি পর্যবেক্ষণ করা হবে।