সিরাজগঞ্জ জেলায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন
মোছা : রিক্তা খাতুন, কাজিপুর প্রতিনিধি
যথাযথ মর্যাদা উৎসাহ উদ্দীপনায় সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উৎযাপন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসক আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এ্যাড:কে.এম হোসেন আলী হাসান। সভাপতি, সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ সকল ব্যক্তিগন আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা পর্ব শুরু হয়।আলোচনায় সভায় প্রথমে শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করেন স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
১৯৭১সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে বজ্রকন্ঠে ঘোষণা করেন “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম “। বঙ্গবন্ধুর সেই কালজয়ী আহ্বানে জেগে উঠেছিল সমগ্র বাঙালি জাতি।
বঙ্গবন্ধু ১৮মিনিটের অলিখিত ভাষনের মাধ্যমে একটি নিরস্ত্র জাতিকে সংগ্রামী জাতিতে পরিণত করেন।ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণকে ২০১৭ সালের ৩০অক্টোবর ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করে। জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের বিশ্ব স্বীকৃতি আজ বাঙালি জাতির জন্য এক বিরল সম্মান ও গৌরবের স্বারক।
জাতির পিতা যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশে উন্নয়নের অগ্রযাত্রার যে ভিত্তিক স্থাপন করে গিয়েছেন,তারই ধারাবাহিকতায় তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ‘বিনির্মানের লক্ষ্যে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ‘রূপকল্প ২০৪১’বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা ‘বিনির্মানে সকলকে যার যার অবস্থানে থেকে একসাথে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান। সবশেষে জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির কল্যান সমৃদ্ধি কামনা করেন এবং বণার্ঢ্য রালি করেন।
Leave a Reply