বাংলাদেশি জাহাজ জলদস্যুদের কবলে, জিম্মি ২৩
চুয়াডাঙ্গা পতিনিধিঃ
বায়েজিদ জোয়ার্দার
ভারত মহাসাগরে ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামে বাংলাদেশের পতাকাবাহী একটি জাহাজ জলদস্যুদের কবলে পড়েছে। জাহাজে থাকা ২৩ নাবিক ও ক্রুকে জিম্মি করেছে জলদস্যুরা। তবে তারা নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছে জাহাজটির মালিক কর্তৃপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপ।
অদ্য ১২ই মার্চ ২০২৪ইং মঙ্গলবার দুপুর ১টায় জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ার খবর জানতে পারে কেএসআরএম গ্রুপ।
কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম সমকালকে বলেন, ‘জলদস্যুর কবলে পড়া জাহাজটিতে ২৩ জন নাবিক ও ক্রু রয়েছেন। ঘটনার পর তারা আমাদের মেসেজ দিয়েছে। তারা জিম্মি থাকলেও নিরাপদে আছেন। জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে
যাচ্ছিল। পথে ভারত মহাসাগরে এটি জলদস্যুদের কবলে পড়ে।’
জাহাজের নাবিকদের সঙ্গে আবারও যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
জাহাজটিতে জিম্মি থাকা নাবিক ও ক্রুরা হলেন- ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ, চিফ অফিসার মোহাম্মদ আতিকুল্লাহ খান, দ্বিতীয় কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, তৃতীয় কর্মকর্তা মো. তারেকুল ইসলাম, ডেক ক্যাডেট মো. সাব্বির হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী এএসএম সাইদুজ্জামান, দ্বিতীয় প্রকৌশলী মো. তৌফিকুল ইসলাম, তৃতীয় প্রকৌশলী মো. রোকন উদ্দিন, চতুর্থ প্রকৌশলী তানভীর আহমদ, ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খান, ইলেকট্রিশিয়ান ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ, এবি মো. আনোয়ারুল হক, এবি মো. আসিফুর রহমান, এবি সাজ্জাদ হোসেন, ওএস জয় মাহমুদ, ওএস মো. নাজমুল হক, ওএস আইনুল হক, অয়েলার মোহাম্মদ শামসউদ্দিন, মো. আলী হোসেন, ফায়ারম্যান মোশারফ হোসেন শাকিল, চিফ কুক মো. শফিকুল ইসলাম, জিএস মো. নূর উদ্দিন ও ফিটার মো. সালেহ আহমেদ।
‘গোল্ডেন হক’ নামের জাহাজটি কেএসআরএম গ্রুপের বহরে যুক্ত হওয়ার পরে এর নাম দেওয়া হয় ‘এমভি আবদুল্লাহ’। গত বছর এটি সংগ্রহ করে সাধারণ পণ্য পরিবহন করতে থাকে কেএসআরএম গ্রুপ। ২০১৬ সালে তৈরি হওয়া জাহাজটি লম্বায় ১৯০ মিটার।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে একই মালিকের ‘এমভি জাহান মনি’ নামের আরেকটি জাহাজ আটক করে সব নাবিক ও ক্রুকে জিম্মি করে সোমালিয়ান জলদস্যুরা।