খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধিঃ
মোঃ আব্দুর রাজ্জাক সুমন
খাগড়াছড়িতে চোর চক্রের মূলহোতা গ্রেফতার, উদ্ধার ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন
রুমি চাকমা (৪০), স্বামী-শ্রী সেবা চাকমা, সাং-উত্তর খবংপুড়িয়া, ০১নং পৌর ওয়ার্ড, খাগড়াছড়ি পৌরসভা, থানা-খাগড়াছড়ি সদর, জেলা-খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা আজ ০১/০৪/২০২৪ তারিখ খাগড়াছড়ি সদর থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন যে, বাদীর নির্মাণাধীন নতুন বসত ঘরের কাজ সম্পূর্ন শেষ হয় নাই। দরজা জানালার কাজ এখনও বাকী আছে উক্ত দরজা জানালায় বাদী কাপড়ের পর্দা দিয়ে রেখেছেন। গত ৩০/০৩/২০২৪ তারিখ রাত আনুমান ০৯.৩০ ঘটিকার সময় তারা রাতের খাবার খেয়ে তাদের বসত ঘরে যার যার রুমে ঘুমিয়ে পড়ে। গত ৩১/০৩/২০২৪ তারিখ রাত আনুমান ০২.০০ ঘটিকা হতে ০৪.০০ ঘটিকার মধ্যবর্তী সময়ে অজ্ঞাতনামা চোর বাদীর বসত ঘরে দরজা অথবা জানালা দিয়ে ঘরের ভিতর প্রবেশ করে ১টি ল্যাপটপ যার মূল্য ৪০,০০০/- টাকা এবং ০৪ টি এন্ড্রয়েট মোবাইল ফোন যার মূল্য-৭০,০০০/-টাকা চুরি করে নিয়ে যায় । রাত আনুমান ০৪.০০ ঘটিকার সময় হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে গেলে বাদী দেখিতে পান যে, তার বসত ঘরের কাপড় চোপড় এলোমেলো ভাবে ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় পড়ে আছে। তখন বাদী তার ছেলে মেয়েদের ডেকে তাদেরকে সহ খুঁজতে গেলে ল্যাপটপ ও মোবাইল সেট ০৪ টি না পেয়ে চুরির ঘটনার বিষয়টি বুঝতে পারেন। বাদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে খাগড়াছড়ি সদর থানায় অজ্ঞাতনামা চোরের বিরুদ্ধে একটি চুরির ঘটনার মামলা রুজু করা হয়।
মামলার তদন্তের প্রারম্ভে আধুনিক তদন্ত কৌশল, তথ্য প্রযুক্তি ও বিশ্বস্ত গুপ্তচর নিয়োগ করে পুলিশ সুপার মুক্ত ধর পিপিএম (বার), খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা এর নির্দেশে ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল, মোঃ তফিকুল আলম ও খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জের নের্তৃত্বে খাগড়াছড়ি সদর থানার একটি বিশেষ চৌকস দল গঠন করা হয়। মামলা হওয়ার ৬ ঘন্টা পার হওয়ার পূর্বেই মামলার ঘটনায় প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত আসামী- মোঃ সাব্বির মিয়া (১৮), পিতা-মোঃ নাছির হক, সাং-আরামবাগ, ০৩নং পৌর ওয়ার্ড, খাগড়াছড়ি পৌরসভা, থানা-খাগড়াছড়ি সদর, জেলা-খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাকে বিজ্ঞান ভিত্তিক তদন্ত কালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় খাগড়াছড়ির বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ০১/৪/২০২৪ তারিখ রাত আনুমান ০৩.০৫ ঘটিকার সময় খাগড়াছড়ি থানাধীন ০৩নং পৌর ওয়ার্ড, মুসলিম পাড়া বঙ্গবন্ধু চত্বর এলাকা হতে অত্র মামলার চোরাই যাওয়া ১ টি ল্যাপটপ ও ০২ টি মোবাইল ফোন সহ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসা বাদে ধৃত আসামী মোঃ সাব্বির মিয়া (১৮) অত্র মামলার ঘটনার দায় স্বীকার করে এবং ইতি পূর্বেও বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময় উক্তরূপ ঘটনা ঘটিয়েছে মর্মে জানায়। মামলা তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানা পুলিশের আন্তরিক প্রচেষ্টায় মামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও চোরাইকৃত মালামাল সহ ঘটনার সাথে জড়িত আসামীকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। এ ক্ষেত্রে চোরাই মালামাল উদ্ধারসহ আসামী গ্রেফতার ও আসামীকে আইনের আওতায় আনতে পেরে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ স্বস্তিবোধ করছে। ভবিষ্যতে অনুরূপ যে কোন অপরাধের ক্ষেত্রে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ যথাযথ আইনের প্রয়োগ ঘটিয়ে জেলার আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সদা সচেষ্ট থাকবে।