আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে আসে নাই কেহ অবনী পরে,
সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।’
মানুষের জন্যই মানুষের সৃষ্টি। একে অপরের উপকারের মধ্যেই মানবতার উদারতা প্রমাণিত হয়। কাউকে অপমানিত কিংবা অবহেলায় দূরে ঠেলে দেয়ার মধ্যে মানবতার সৌন্দর্য দৃপ্তময় হয়ে ওঠে না। আলোকিত মানুষ হওয়ার পাশাপাশি আলোকিত মানবতার ফেরিওয়ালা হওয়াও জরুরি। মানব সম্প্রদায় আর মানবতা দুটি পৃথককৃত শব্দ হয়ে থাকলেও এ দুটি শব্দ একই সুতোয় গাঁথা। পুষ্প যেমন করে আপনার তরে ফোটে না, মানুষকেও ঠিক সেরকম হতে হবে। একাকী বেঁচে থাকার মধ্যে তেমন কোনো প্রফুল্লতাময় স্বাদ নেই, তৃপ্তি নেই। ইচ্ছেশক্তির ওপর অনেক কিছুই ভর করে থাকে। মানবসম্প্রদায় ইচ্ছে করলে নিজেকে বিলিয়ে দিতে পারে মানবতার ভিড়ে। মানবতার উদারতার কারণে মানুষ মরেও অমর থাকে। আমরা সুস্থসবল এবং ঐশ্বর্যবান হওয়ার সত্ত্বেও মানব এবং মানবতাকে জীবিত করে রাখার জন্য এই পর্যন্ত কী করেছি? হিসাব করলে দেখা যাবে কিছুই করিনি। তাহলে আমাদের শ্রেষ্ঠত্ব কোথায়? ভোগবিলাসী জীবনযাপন শুধু ক্ষণিকের জন্যই থাকে, স্তব্ধ হয়ে গেলে কেউ আর খোঁজ নেয় না, খুঁজতে আসে না, ভাবে না। এমন জীবন কাননের সুউৎকৃষ্ট পুষ্পের মতোই অকেজো। জন্মালে জীবন সুন্দর হয়ে ওঠে না, গঠন করতে হয়। মানুষ হওয়ার পাশাপাশি মনুষ্যত্ব এবং মানবতাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য নিজেকে তৈরি করে নিতে হবে।যেমনটা তৈরী করে নিয়েছেন সাহসী বীর মুক্তিযোদ্ধা কন্যা অনামিকা আজম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অনামিকা আজম।
Leave a Reply