চাঁদপুর সদরে লোডশেডিং সংখ্যা দিনাদিন বেড়েই চলছে এতে জনজীবনের মাঝে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জাহিদ হোসেন স্টাফ রিপোর্টার মুক্তিযোদ্ধা টিভি।
তাপদাহে যত বেড়েই চলছে চাঁদপুর সদরে লোডশেডিং এর সংখ্যা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। গরম বাড়তেই নির্বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের আশ্বাস ডুবে গেছে। দীর্ঘ গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা, কিন্তু চাঁদপুরের দুটি পাওয়ার হাউস থাকা সত্ত্বেও বিদ্যুতের উৎপাদন সে তুলনায় না বাড়ায় লোডশেডিং দিনাদিন বাড়ছে। বিশেষ করে চাঁদপুর সদরে মিল কারখানা ও হকার্স মার্কেটের পরিপূর্ণ বেশি থাকার ফলে লোডশেডিং দিনের মধ্যে ২৪ ঘণ্টার ভেতর ১৪ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না বলে চলে। গত কয়দিন যাবত চাঁদপুর জেলাতে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা লোডশেডিং হচ্ছে। একবার যদি লোডশেডি হয় টানা দুই থেকে আড়াই ঘন্টা বিদ্যুৎ আসে না। প্রচন্ড গরমে বারবার বিদ্যুৎ বিভ্রান্তিতে জনজীবন। বিঘ্নিত হচ্ছে কৃষকদের সেচ সহ স্বাভাবিক কার্যক্রম, দেশজুড়ে প্রচুর তাপ প্রবাহ বেরিয়ে চলছে।চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রা ৪১ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠছে। আবহাওয়া পূর্বাভাস বলছে আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানিগুলো। সরবরাহ না বাড়লেও সামনে ভোগান্তি আরো বাড়বে। চাঁদপুর পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির তথ্য মতে জানা যায় যে উৎপাদনের তুলনায় বিদ্যুতের ঘাটতি বেশি হচ্ছে। জ্বালানি সংকটের কারণে চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন করতে না পারায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে। গ্যাস সরবরাহ না বাড়লে সামনে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এজন্য চাঁদপুর শহর থেকে শুরু করে গ্রামগঞ্জে লোডশেডিং বেশি। চাঁদপুর শহরগুলোতে গরমের তাপদাহ যতদিন থাকে তার জন্য দোকানগুলো নির্দিষ্ট সময় ধরে সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত খোলা থাকার জন্য পরামর্শ অনুযায়ী মিটিং করিতে হবে। এতে লোডশেডিং কমে আসবে বলে জনমতে ধারণা করছে। চাঁদপুরে পছন্দ গরমের ফলে ছোট শিশু ও বয়স্ক মা-বাবা এবং অসুস্থ মানুষের অবস্থা খুবই নাজেহাল। এ থেকে বাঁচতে হলে লোডশেডিং কমিয়ে আনতে হবে। যাতে করে মানুষের ভোগান্তি কমে আসে।
Leave a Reply