_______ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ _______
জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা, যাদের বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে আজকের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। যাদের রক্তে রচিত হয়েছে একটি স্বাধীন দেশের লাল সবুজের মিশ্রিত পতাকা। সেই দেশেই অপমানিত , ধিক্কৃত হচ্ছে সেই বীর সন্তানেরা।
অত্যান্ত দু:খের সাথে বলতে মুক্তিযোদ্ধারা বুট স্যুট পরিধান সাহেব সেজে দেশ স্বাধীন করেনি।
এদেশের ভুখা-নাঙ্গা, ইপিআর, আনসার, পুলিশ আর সেনা নৌ আর বিমান বাহির যৌথ প্রচেষ্টায়, দেশ স্বাধীন হয়েছে।
সেদিন এই মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধে করেছিল দেশ রক্ষায় জীবন বিসর্জন দিতে হবে, এমন শপথ নিয়েই। কোন সম্মানী ভাতা প্রাপ্তির আশায় নয়।
দেশ স্বাধীনের দীর্ঘ সময় পরে , যার সুদৃষ্টি গোচরীভূত হয়েছিল এদেশের বীর সন্তানদের, যার হৃদয়ে স্বাধীনতার চেতনা গেথেছিল, সে অন্য কেহ নয়, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যার বিচক্ষন দৃষ্টিভঙ্গিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা সহ আনুষাঙ্গিক সুযোগ সুবিধা, পর্যায়ক্রমে বর্ধিত করন করে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে পৌছিয়াছেন।
তারই ধারাবাহিকতায় , বর্তমান বাজার ব্যবস্থা উর্ধ্বমুখী হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয় থেকে ভাতা বর্ধিত করার জন্য বাজেট প্রক্রিয়া সামনে রেখে গন প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের , অর্থমন্ত্রনালয়ে প্রস্তাবনা উপস্থাপ করলে তা সরাসরি নাকচ করে দেন। যা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রকাশ্যে অপমানের সামিল।
অর্থ মন্ত্রনালয়ের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে কি এমন বৈরি সম্পর্ক ছিল। যে কারনে ভাতা বর্ধিত করন সহ অন্যান্য প্রস্তাবনাকে নাকচ করে দিতে হল।
তাই স্বাধীনতা স্বপক্ষের অন্যতম কাণ্ডারী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা র কাছে বিনয়ের সহিত অনুরোধ জানাচ্ছি বিষয়টি বিবেচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে দেশের সুর্য্য সন্তানদের আত্মসম্মান টুকু অবিচল রাখবেন।
সেই সাথে অর্থ মন্ত্রনালয়ের এমন গর্হিত কাজের জন্য প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
ধন্যবাদন্তে
বাংলাদেশ বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের পক্ষে
এইচ এম মনিরুজ্জামান লিডার
সাধারন সম্পাদক
বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড
বরিশাল জেলা কমিটি