:গরু চোরের উৎপাতে অতিষ্ঠ বরিশালের বাবুগঞ্জবাসী:
মুক্তিযোদ্ধা টিভি: এইচ এম মনিরুজ্জামান লিডার /বিভাগীয় প্রতিনিধি (বরিশাল):
সাম্প্রতিক কালে বাবুগঞ্জে গরু চোরের উৎপাতে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। হত দরিদ্র মানুষ গুলো অনেক কষ্টে দুই একটা, গরু পালন করে, অনেক বেকার যুবক ও কর্ম সংস্থানের শেষ প্রচেষ্টা হিসাবে গরুর ফার্ম প্রতিষ্ঠা করে ও হতাশার ভিতর দিন যাপন করে, অনেকে গরু ঘরেই রাত্রি যাপন করে গরু পাহারা দিতে হচ্ছে। এত পাহারা ও এত সতর্ক থাকার পরে ও শেষ সম্বল টুকু নিয়ে যায় চোরে, উপজেলা প্রশাসন তথা স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি নাকের ডগা দিয়েই পার হয়ে যাচ্ছে চোর। একের পর এক চুরি হওয়া সত্ত্বেও প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি গন নীরব ভুমিকা পালন করে। কিছু দিন আগে ও জাহাঙ্গীর নগর ইনিয়নে ও একই দিনে চার গৃহস্থের ৮ টি গরু নিয়ে যায়, অথচ আগরপুরেই পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র। এই আগরপুরেই একাধিক বার চোর সনাক্ত হওয়া সত্ত্বেও একটি কুচক্রি মহলের সহায়তায় ছাড় পেয়ে যায়, পরবর্তী সময়ে আবার ও এই আগরপুরেই চার টি গরু চুরি হয়, চোর সনাক্ত হলে ও উলটা গরুর মালিককে মামলা দিয়ে পরাস্থ করা হয়, অথচ কার ও কোন প্রকার দৃষ্টিপাত নাই। তারই ধারা বাহিকতায়
কেদারপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ভূতেরদিয়ার মৃতঃ আব্দুল মজিদ খলিফার ছেলে মনিরের দুটি গরু গতকাল(৩০.০৬.২০২৪) রাতে চুরি করে নিয়ে গিয়েছে। আনুমানিক মুল্য তিন লক্ষ্য টাকা।
এ ধরনের একাধিক ঘটনা এই এলাকায় প্রায়ই হচ্ছে। কিছু দিন আগে একই এলাকার সিদ্দিক কবিরাজ, হিন্দু পাড়ার বিমল কৃত্রনিয়া, সেলিম ঘরামী, সহ অনেকের গরু চুরি হয়েছে। কোন মালিক পক্ষই কোন কিছু করতে পারেনি এ যাবৎকালে।
পাকা ঘর এবং দরজায় গ্রিল তার উপরে তালা মারা এগুলো কেটে কিভাবে নিতে পারল এ নিয়ে জনমনে ব্যাপক প্রশ্ন এবং হতাশা রয়ে গেছে।
সর্বোপরি প্রশাসনের প্রতি বিশেষ অনুরোধ থাকবে, যাতে এলাকাবাসী গরু চোর মুক্ত হয়, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করিবেন।