1. admin@muktijoddhatv.xyz : admin :
  2. mainadmin@muktijoddhatvonline.com : mainadmin :
বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৫৯ পূর্বাহ্ন

সালথায় কলেজের অধ্যক্ষকে জোর পূর্বক পদত্যাগের ঘটনায় মামলা

  • Update Time : শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১৩ Time View

সালথায় কলেজের অধ্যক্ষকে জোর পূর্বক পদত্যাগের ঘটনায় মামলা

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার নবকাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মো. ওবায়দুর রহমানকে হাতুড়িপেটা করে পদত্যাগপত্রে সই নেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ভুক্তভোগী অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান সালথা থানায় মামলাটি করেন।

এতে প্রধান আসামি করা হয়েছে যদুনন্দী এলাকার মো. কাইয়ুম মোল্যাকে। এ ছাড়া কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য কামরুল গাজী, যদুনন্দী গ্রামের লালন বিশ্বাস, মনির হোসেন, লোকমান বিশ্বাস, বুলু, জিয়া, আমীর আলী, রাজীব গাজী, শহীদ ভূঁইয়াসহ অজ্ঞাতনামা দুই-তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। তবে এ মামলায় কোনো শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়নি।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ ফায়েজুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বাদী অধ্যক্ষ মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে কলেজের কোয়ার্টার থেকে বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নির্মল কুমার বিশ্বাসের মোটরসাইকেলে করে আমি ও আমার বড় ছেলে আব্দুর রহমান কলেজে আসার পথে কলেজ গেটের দক্ষিণ পার্শ্বে পাকা রাস্তায় এলে কাইয়ুম মোল্যা ও কামরুল গাজীর নেতৃত্বে বহিরাগত কিছু সন্ত্রাসী আমাদের গতিরোধ করে। তখন কামরুল গাজী আমার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে কাইয়ুম মোল্যা ও কামরুল গাজীর নেতৃত্বে হাতুড়িপেটা করে আমার কাছ থেকে পদত্যাগপত্রে সই নেয় বহিরাগত সন্ত্রাসীরা।’

এ ঘটনায় ন্যায়বিচার পাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আমি ইচ্ছা করে পদত্যাগপত্রে সই করিনি। তাই আমি আইনের আশ্রয় নিতে তাদের নামে মামলা করেছি। আশা করি, ন্যায়বিচার পাবো।

জানতে চাইলে প্রধান আসামি কাইয়ুম মোল্যা বলেন, ‘অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান কলেজে যোগ দেওয়ার পর থেকে দুর্নীতি-অনিয়ম করে আসছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশ দিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীদের নানাভাবে হয়রানি করেছেন অধ্যক্ষ। যে কারণে তার পদত্যাগের জন্য শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে, মানববন্ধন করেছে। বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে তিনি নিজের ইচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। এখানে আমি কোনোভাবেই জড়িত না। আর আমি ঘটনার সময় এলাকাতেও ছিলাম না।’

অপরদিকে চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য কামরুল গাজী বলেন, ‘অধ্যক্ষ পদত্যাগ করার সময় আমি ফরিদপুর অফিসে ছিলাম। আমি তো এসব বিষয় কিছুই জানতাম না। অধ্যক্ষ শুধু শুধু আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন।’

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ ফায়েজুর রহমান বলেন, ‘অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমানের ওপর হামলার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss