পটুয়াখালীতে উপকূলীয় বন বীভাগের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক ‘জীববৈচিত্র্য দিবস’ ২০২৩ পালিত
অপূর্ব সরকার,
বিশেষ প্রতিনিধি , পটুয়াখালী।
পটুয়াখালীতে আন্তর্জাতিক ‘জীববৈচিত্র্য দিবস’ ২০২৩ উপলক্ষে উপকূলীয় বন বীভাগের উদ্যোগে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় ।
সোমবার (২২ মে) আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস – ২৩ ‘বাস্তবায়ন করি অঙ্গীকার, জীববৈচিত্র্য হবে পুনরুদ্ধার’ এই স্লোগান নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলার উপকূলীয় বন বীভাগের “বন তাপসী” সভাকক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে সচেতন করতেই জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি ২২ মে দিনটি জীববৈচিত্র্য দিবস হিসেবে উদযাপন করে আসছে। স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জীব বৈচিত্র্য ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ সেল ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন করেন।তার ই ধারাবাহিকতায় আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস উপলক্ষে আজ পটুয়াখালীতে উপকূলীয় বন বীভাগের আলচনা সভা অনুষ্ঠিত ।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ সফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে উক্ত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কাজী সাইফুদ্দিন(সহকারি পরিচালক)পরিবেশ অধিদপ্তর, মোঃতারিকুল ইসলাম সহকারি বন সংরক্ষক, নাসিম তালুকদার (এনিমেলস লাভার পটুয়াখালী), মোঃ মনিরুজ্জামান (রেইঞ্জ অফিসার তালতলি), অমিতাভ বোস (রেইঞ্জ অফিসার রাঙ্গাবালি), সম্মিলিত সাংস্কৃতিজ জোটের সাধারন সম্পাদক ও পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম প্রিন্স, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা মানস কান্তি দত্ত আছারা উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য কর্মকর্তা,বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিক ও ভলান্টিয়ার সংগঠনের সদস্য।
উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন চ্যানেল আই সাংবাদিক এনায়েতুর রহমান।
সাভার সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, আধুনিক পৃথিবীতে এখন সব জায়গাতেই মানুষের পদচারণা। মানুষ, প্রাণী ও প্রকৃতি মিলিয়েই আমাদের পৃথিবী নামের সবুজ গ্রহটি। বিশ্ববাসীর ব্যবহারের জন্য একটি মাত্র এ জীবমন্ডলটি রয়েছে। মানুষ এটিকে এতোটাই নির্দয়ভাবে ও নির্বিচারে ব্যবহার করছে। বর্তমানে সমস্ত বিশ্ব ব্যবস্থাই হুমকির দরজায় এসে দাঁড়িয়ে আছে। জীব বৈচিত্র্যের জন্য আন্তর্জাতিক দিবসটি আজ বিশ্বকে ঘিরে থাকা জীববৈচিত্র্যের সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য একটি দিন হিসাবে চিহ্নিত
চিহ্নিত। গ্রহের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য জীববৈচিত্র্য অপরিহার্য। এটি ইকোসিস্টেম পরিষেবাগুলির ভিত্তি, যা সম্পূর্ণরূপে মানুষের মঙ্গলের সাথে আবদ্ধ৷
বিভিন্ন ধরণের প্রানী, পাখি এবং গাছপালা একে অপরের চাহিদা পূরণ করে, যাদের জীবন একে অপরের উপর নির্ভর করে। প্রকৃত অর্থে, জীববৈচিত্র্যের সমৃদ্ধি পৃথিবীকে বসবাস ও বসবাসের উপযোগী করে তোলে, কিন্তু এটা পরিহাস যে ক্রমবর্ধমান দূষণ-সদৃশ দৈত্য পরিবেশের উপর এমন বিপজ্জনক প্রভাব ফেলছে যে অনেক প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদ ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে!
মানুষ, প্রাণী ও প্রকৃতি মিলিয়েই আমাদের পৃথিবী নামের সবুজ গ্রহটি। কিন্ত এই জীবমন্ডলের সঙ্গে মানুষ এতটাই নির্দয় ও নির্বিচার আচরণ করছে, যার ফলাফল হিসেবে বিশ্ব ব্যবস্থা হুমকির দরজায়। দুনিয়াবাসীকে জীব বৈচিত্র্য ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার বিষয়ে সচেতন করতে বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে বিশ্ব জীববৈচিত্র্য দিবস।
সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা সম্ভব।আসুন জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সকলে একসাথে এগিয়ে আসি।
Leave a Reply