খুলনা সিটি নির্বাচনে ৩নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। জাহিদ হাসান স্টাফ রিপোর্টার দিঘলিয়া খুলনা। আজ (শনিবার) রাতে শেষ হচ্ছে খুলনা সিটি কর্পোরেশন কেসিসি নির্বাচনের সকল প্রচার প্রচারণার লড়াই। আগামী ১২ই তারিখে সোমবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হচ্ছে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ গণনা। বিরামহীন প্রচারণার শুক্রবার ও নানা প্রতিশ্রুততে ভোটের আবেদন নিয়ে জনগণের ঘরে ঘরে ছুটে চলছে ৩নং ওয়ার্ডবাসীর সবচেয়ে অতি প্রিয় চার চার বারবার কাউন্সিল পদপ্রার্থী আলহাজ্ব মাস্টার আব্দুল সালাম। পথসভা কর্মীসভা ও গণসংযোগসহ শুক্রবারে বিকাল চারটার দিকে ঘুড়ি মার্কার বিশাল মিছিল নিয়ে কার্তিক কুল গ্রাম বউবাজার থেকে শুরু করে সাহাপাড়া, ঋষিপাড়া, আসলামের মোড় দিয়ে সরকারি কবরস্থান হয়ে কালীবাড়ি বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে ঘুড়ি মার্কার ভোটের অবস্থান তুলে ধরেছেন এবং ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কাউন্সিলর প্রার্থীর কর্মীরা। খুলনা সিটি নির্বাচনের মাঠ গরম করিতে ৩নং ওয়ার্ডে দাঁড়িয়েছে দেড়হালির মত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী। তার মাঝে লড়াই চলছে আলহাজ্ব মাস্টার আব্দুল সালাম এর ঘুড়ি, ও সাবেক কাউন্সিলর মোঃ মাকসুদ হাসান পিকু (ব্যাডমিন্টন রেকেট), মার্কার সাথে কে হবে আগামী আসন্ন খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী। বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এই নির্বাচন বর্জন করিলেও নির্বাচনের মাঠের আনুষ্ঠানিকতার কোন দিক থেকে কোমতি রাখেনি নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন এর তফসিল শোনার পর পর থেকে প্রচার প্রচারণায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হিসেবে তালুকদার আব্দুল খালেক প্রচারণা ব্যস্ত সময় পার করছে বলে নির্বাচনের মাঠ গরম দেখা যাচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধা টিভি সাংবাদিক এর চোখে পড়ার মতো ৩নং ওয়ার্ডে ভোটের বাজারে অনেক গরম হাওয়া বইছে বলে অনুভব করছি। ৩ নং ওয়ার্ড বাসির মাঝে দেড় হালি মত কাউন্সিলর প্রার্থীর মাঝে যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে তাতে জমে উঠেছে কাউন্সিলর নির্বাচন। ১ নং ও দুই নং ওয়ার্ডের তুলনায় ৩ নং ওয়ার্ডের মাঝে ভোটের লড়াই হবে। এবার নির্বাচনে সাধারণত ৩১ টি সংক্ষিপ্ত ১০টি ওয়ার্ড বাড়িয়ে নিলেও মোট ৪১টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে প্রতিদন্ডিতা করছে মোট ১৭৫ জন প্রার্থী। মাত্র রাত পোহালে শোনা যাবে বহুল প্রতীক্ষিত কেসিসি সিটি নির্বাচন। খুলনা নগরের ৩১ টি ওয়ার্ডে স্থাপন করা প্রায় 2000 থেকে 2200টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ঢাকার নির্বাচন কমিশন থেকে সরাসরি মনিটরিং করবে সিইসিসহ অন্য সব কমিশনরা মিলে। ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলহাজ্ব মাস্টার আব্দুল সালামের প্রচার প্রচারণার সময় বিরোধী প্রার্থীজনের কিছু কর্মীরা মোটরসাইকেল করে এসে অভিযোগ করছে যে একটি মহল গত ৯ জুন রাতে কালো টাকার লেনদেন হচ্ছে নাকি। যাক জনগনের মাঝে একটু ভয়ের কাজ করছে। গত ৯ জুন অভিযোগ পাওয়া গেছে যে ৩নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে মোঃ মাকসুদ হাসান পিকু বিরুদ্ধে অসংখ্য মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার নিয়ে মিছিল সহকারে সন্ত্রাসী কায়দায় মহড়ার মাধ্যমে জনগণের মাঝে ভয়ের একটা কাজ করছে বলে জানান গণমান্য এলাকার ভোটাররা। আগামী ১২ই জুন এমন অবস্থা হলে ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিত কম হতে পারে বলে ধারণা মনে করছেন অনেক কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা। ৩নং ওয়ার্ড কার্তিক কুল গ্রামে ১২টা থেকে ১৩টা বুথ বসানো ব্যবস্থা করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কাজী ইব্রাহিম মার্শাল লাটিম মার্কায় প্রার্থী বলছেন যে,আশা করা যায় আমি আমার ৩নং ওয়ার্ডের একজন গণ্যমান্য সম্মানিত ব্যক্তি ।আমি কারো কখনো কোনো ক্ষতি বা কারো সাথে জুলুম অত্যাচার করার পরিকল্পনায় নেই বলে , আমি যদি আগামী ১২জুন আসন্ন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হতে পারে তাহলে এই ওয়ার্ডকে আমি মডেল হিসাবে গড়ে তুলবো এটা আমার প্রত্যাশা ও আব্দুস মাস্টার সালাম এর অসমাপ্ত কাজগুলো আমি যেন বিজয় হয়ে সামর্থপ্ত করে জনগণের সেবা করতে পারে এই প্রত্যাশা আমি ব্যক্ত করি। আফজাল জমাদার ঠেলাগাড়ি মার্কায় উনার মতামতে উনিও চায় ৩নং ওয়ার্ড কে নিজের মতো সাজাতে যুক্ত হয়ে আরো বলেন আমি আমার নিজের জন্য নয় ৩নং ওয়ার্ডবাসীর ভাগ্যের পরিবর্তনে নির্বাচন করতে এসেছি। আমি এই ওয়ার্ডে উন্নয়ন ছাড়া আমার কোন পরিকল্পনা নেই। ৩নং ওয়ার্ডের কৃতি সন্তান আলহাজ্ব আব্দুল মাস্টার সালাম এর ভিত্তিতে জানা যায় যে,উনার পরিকল্পনা অনুসারে উনি তার চারবার কাউন্সিলর ছিলেন উনি কখনো কারো সাথে অন্যায় অত্যাচার জুলুম নির্যাতন চাঁদাবাজি সন্ত্রাসী এসব তার দ্বারা হয় না ,৩নং ওয়ার্ডের জনগণের মাঝে। উনার বিশ্বাস ৩নং ওয়ার্ড বাসী আমাকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করে আবারো ৫ম বারের মত কাউন্সিলর হিসেবে গড়ে তুলবে এই ওয়ার্ডের উন্নয়নমূলক অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করার জন্য। আমাকে বিজয় করে এনে আমাকে ফুলের মালা গলায় পড়িয়ে আমার সেই চেয়ারে বসাবে এটাই কামনা করি এই ওয়ার্ডবাসীর কাছে। বাংলাদেশ আওয়ামী সরকার আমাকে নমিনেশন দিয়েছে আমি আবার আপনাদের মাঝে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছি এখন আপনাদের ভোট আমার কাছে অনেক মূল্যবান সে ভোটের মাধ্যমে আমি জয়যুক্ত হয়ে পুনরায় ওয়ার্ডবাসীর সেবা করার সুযোগ পাবো এটাই কামনা করেন ।
Leave a Reply