মুজিব বর্ষের আশ্রয়ন প্রকল্পে জামাল শেখ এবং লিপি বেগম দম্পতির বদলে যাওয়ার গল্পঃ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:
বায়েজিদ জোয়ারদার
মুজিব বর্ষের আশ্রয়ন প্রকল্পের দুই শতক জমির সহ সেমি পাকা ঘর উপহার পেয়ে চল্লিশ বছর বয়সী জামাল শেখ এবং তার স্ত্রী মোছাঃ লিপি বেগম (৩৫) চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলা থেকে ০৫ কি.মি দূরে অবস্থিত উথলী ইউনিয়নের সেনেরহুদা গ্রামের বাসিন্দা। দুই বছর পূর্বেও তারা ছিলেন ঠিকানাবিহীন। একমাত্র পুত্রকে নিয়ে বাস করতেন বাংলাদেশ রেলওয়ের জমিতে। ছিলোনা মাথা গোঁজার ঠাঁই। ছিল দারিদ্রের ছোবল। জামাল শেখ পেশায় ছিলেন একজন দিনমজুর। উপার্জনও করতেন নামমাত্র। তার স্ত্রী লিপি বেগমের ছিল নামমাত্র একটি দোকান। এ গল্পটি এক সীমাহীন অনিশ্চিয়তায় ভরা পিতামাতার গল্প, যাদের একমাত্র পুত্র সন্তানের সামনে ছিল অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। ২০২১ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে এই দম্পতিকে উপহার দিলেন ০২ (দুই) শতক জমিসহ সেমিপাকা ঘর। বদলে যাওয়া গল্পের সূচনা এখান থেকেই।
আজ মোঃ জামাল শেখ ও মোছাঃ লিপি বেগম আপন গৃহে নিশ্চিন্তে বসবাস করছেন। ইলেকট্রিক মিস্ত্রি হিসেবে জামাল শেখের নামডাকও হয়েছে বেশ। উপার্জনও বেড়েছে। দিনশেষে ঘরে গিয়ে শান্তিতে বিশ্রাম নেন। তার চোখেমুখে আজ পরিতৃপ্তির ছাপ সুস্পষ্টরূপে দৃশ্যমান। মোছাঃ লিপি বেগমের ছোট্ট দোকানটিরও শ্রী ফিরেছে। বেড়েছে কলেবর। নিজের ছেলেকে নিজের বাড়ি থেকেই বিদ্যালয়ে পাঠাতে পারছেন। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। কৃতজ্ঞতার শেষ নেই আমাদেরও।
ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, অশেষ কৃতজ্ঞতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
Leave a Reply