পটুয়াখালীতে অটো রিক্সার মালামাল সহ চোর চক্রের ৭ সদস্য আটক
অপূর্ব সরকার,
বিশেষ প্রতিনিধি,পটুয়াখালী।
অটো রিক্সার মালামাল সহ চোর চক্রের ৭ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার(২৮ডিসেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ সাজেদুল ইসলাম।
আটককৃতরা হলো পটুয়াখালী কমলাপুর ইউনিয়নের দেলোয়ার সিকদারের ছেলে মোঃ সিদ্দিক সিকদার(২৫), লেবুখালী ইউনিয়নের আঠারোগাছিয়া গ্রামের সুলতান জোমাদ্দারের ছেলে সুমন জোমাদ্দার(৩০), পটুয়াখালী শহরের আদালত পাড়া এলাকার আঃ রহিমের ছেলে মোঃ কামরুল ইসলাম(৩০), বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার সোভাকাঠি গ্রামের মৃত ছত্তার ডাকুয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর ডাকুয়া(৩৫), দুধল মৌ এলাকার ৬নং ওয়ার্ডের লালু শরীফের ছেলে মোঃ বাচ্চু শরীফ(৩৫), ভরপাশা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের আলতাফ হোসেন কাজীর ছেলে মস্তফা কাজী(৫৫), রুনসীর মোজাম তালুকদারের ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলাম(৫৬)। এ ঘটনায় পটুয়াখালী সদর থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, মামলার বাদী পটুয়াখালী কলের পুকুর এলাকার মোঃ ফরিদ উদ্দিন খান পেশায় একজন অটোগাড়ীর ব্যবসায়ী। বাদীর ৮টি ব্যাটারী চালিত অটোগাড়ী আছে। অটোগাড়ী গুলো পটুয়াখালী পৌরসভাধীন ০২নং ওয়ার্ডের লোহালিয়া খেয়াঘাটের সাথে একটি ভাড়াটিয়া গ্যারেজে রাখে। এ ছাড়াও বাদীর গ্যারেজে অন্যান্য লোকদের অটোগাড়ী ভাড়ায় রাখে ও ব্যাটারী চার্জ দেয়। গত ১৯ ডিসেম্বর সকাল অনুমানিক সাড়ে ৫টায় সজিব হাওলাদার নামের এক অটোচালক দুইটি বড় অটো গাড়ি গ্যারেজ থেকে নামিয়ে গ্যারেজের সামনে রাস্তার উপর রেখে গ্যারেজের মধ্যে কাজ করতে যায়। ঘন্টাখানেক পরে
গ্যারেজ থেকে বের হয়ে তারা দেখতে পায় ২টি অটোগাড়ী মধ্যে একটি নেই। তখন বাদী ফরিদ উদ্দিন ও তার ছেলে শুভ ও অন্যান্য লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। এক পর্যায় তারা জানতে পারে অটোগাড়ীটি সিদ্দিক, সুমন ও কামরুল নামের তিন জন সাথে আরো বেশ কয়েকজনকে নিয়ে অটোগাড়িটি নিয়ে গেছে। ফরিদ উদ্দিন বিষয়টি পটুয়াখালী থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ গত ২৭ ডিসেম্বর রাতে কলেরপুকুর পার হতে চুরির সাথে জড়িত কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা প্রাথমিক ভাবে চুরি করার কথা স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় যে, অটোগাড়ীটি চুরি করে বাকেরগঞ্জ থানাধীন বাকেরগঞ্জ অটোগাড়ীর লাইনম্যান আসামী মস্তফা কাজীর মাধ্যমে জাহাঙ্গীর ডাকুয়ার কাছে বিক্রি করেছে। পরে পটুয়াখালী পুলিশ বাকেরগঞ্জ পুলিশের সাহায্যে পরের দিন রাতে বাচ্চু শরীফকে ও জাহাঙ্গীর হোসেনকে তাদের নিজ নিজ বাসা থেকে আটক করে ও মস্তফা কাজীকে বাকেরগঞ্জ তিন রাস্তার মোড় থেকে আটক করে। পরে তাদের দেয়া তথ্যতে বাকেরগঞ্জের রুনসীর রফিকের ভাঙ্গারির দোকান থেকে চুরি হওয়া অটোগাড়ির ৫টি ব্যাটারি সহ মোট ৯টি চোড়াই ব্যাটারি উদ্ধার করে। এসময় ভাঙ্গারির ব্যাবসায়ী রফিককে আটক করে পুলিশ।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জসিম জানান অটো চুরির একটি চক্রকে আমরা আটক করতে সক্ষম হয়েছি। ভাঙ্গারির ব্যাবসায়ী আসামি রফিক জিজ্ঞাসাবাদে আমাদের জানিয়েছে সে এই সব চুরি করা মালামাল কিনে সে বিক্রির জন্য ঢাকাতে পাঠিয়ে দেয়। এর সাথে জড়িত অজ্ঞাত নামা আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত আছে।
Leave a Reply