কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে টিস্যুকালচার ল্যাব, হটিকালচার সেন্টার স্হাপন ও বিশুদ্ধ চারা তৈরী
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ
বায়েজিদ জোয়ার্দার
সবকিছু পরিকল্পনা মাফিক এগুচ্ছে। গাছের ছোট একটা অংশ নিয়ে ল্যাবরেটরিতে শত-শত রোগমুক্ত বিশুদ্ধ জাতের চারা তৈরির যে বৈজ্ঞানিক কৌশল- সেই টিস্যুকালচার প্রযুক্তির মাধ্যমে বাণিজ্যিক চারা তৈরির পথে সরকারের যে উদ্যোগ কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে তা কিন্তু স্বল্প পরিসরে হলেও ইতোমধ্যেই দৃশ্যমান।
টিস্যুকালচার ল্যাব ও হর্টিকালচার সেন্টার স্থাপন ও উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ইতোমধ্যে সফলভাবে কলা, স্ট্রবেরি, জারবেরা ও অর্কিডের চারা তৈরি করা সম্ভব হয়েছে, বৃহৎ আকারে চারা তৈরির প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছে।
এছাড়া MD2 আনারস, বারোমাসি আঠাবিহীন কাঠাল, মৌ আলু সহ অর্নামেন্টাল প্লান্টস যেমন- এন্থুরিয়াম, এগলোনেমা, মনসটেরা, পিংক প্রিন্সেস, পঞ্চাটিয়া ইত্যাদি নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। ৫ টি আধুনিক মানের টিসুকালচার ল্যাব স্থাপন হওয়ার সাথে সাথেই যেন বৃহত্তর পরিসরে চারা উৎপাদন শুরু করা যায় রোডম্যাপ অনুযায়ি তার প্রস্তুতি চলমান। এই কাজে গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের সাথে যৌথভাবে কাজ চলছে, বিশেষকরে ল্যাবরেটরি ফ্যাসিলিটি ও গবেষণা কার্যক্রমকে আরো বেগবান করছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার , রেজিস্ট্রার , এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের বিভাগীয় প্রধান এবং প্লান্ট টিস্যুকালচার ও বায়োটেকনোলজি ল্যাবের পরিচালক উপস্থিতিতে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। যার ফলে গোপালগঞ্জ ও মাদারিপুরের টিস্যুকালচার ও হর্টিকালচার সেন্টার উন্নয়নে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতা পাবে।
ডিএই, মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস নিজে সশরীরে ল্যাব ভিজিট করে এবং প্রফেসর ড. মনিরুল ইসলাম কে এ বিষয়ে প্রস্তাব দেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর খান মো: গোলাম কুদ্দুস কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার খুব সাহায্য করেছেন এবং কাজটা অনেক সহজ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকলের টিস্যুকালচারের ব্যাপক বিকাশে বাংলাদেশে সূচিত হবে কৃষি উৎপাদনের নতুন বিপ্লব।
কৃষিই সমৃদ্ধি।
Leave a Reply