1. admin@muktijoddhatv.xyz : admin :
  2. mainadmin@muktijoddhatvonline.com : mainadmin :
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৪৯ অপরাহ্ন

দুর্নীতির আখড়া হচ্ছে আউটসোর্সিং এর পদ্ধতিতে জনবল নিয়োগ দেওয়া একই মুরগি বারবার জবাই করা।

জাহিদ হোসেন,স্টাফ রিপোর্টার, মুক্তিযোদ্ধা টেলিভিশন
  • Update Time : সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪
  • ৪৬ Time View

দুর্নীতির আখড়া হচ্ছে আউটসোর্সিং এর পদ্ধতিতে জনবল নিয়োগ দেওয়া একই মুরগি বারবার জবাই করা।

জাহিদ হোসেন স্টাফ রিপোর্টার মুক্তিযোদ্ধা টিভি।

বর্তমান সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় অধীনে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে চতুর্থ শ্রেণীর যেসব কর্মচারীগুলো নিয়োগ দেওয়া হয়েছে একই মুরগি বারবার জবাই করা মানে দুর্নীতির আখড়া সৃষ্টি করা। সেসব বন্ধ করে সরাসরি রাজস্বখাতে নিয়োগ দেওয়ার জন্য জোরপূর্বক দাবি জানিয়েছেন আউটসোর্সিং এর কর্মরত বিভিন্ন সরকারি কোষাগারে জনবল কর্মচারীরা। আউটসোর্সিং নিয়োগের মাধ্যমে ঐইসব কর্মচারীদের মৌলিক অধিকার হরণ হচ্ছে বলে কর্মচারীরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা টিভিকে তাদের মনের আক্ষেপ গুলো প্রকাশ করেছেন। আউটসোর্সিং নিয়োগের ফলে তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার বটে বলে জানিয়েছেন সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত কর্মচারীরা। আউটসোর্সিং কোন চাকরি না দিনমজুর লোকদের মত কর্মের মত বোঝায়, কাজ করিলে বেতন না করিলে বেতন নেই এটাই হচ্ছে আউটসোর্সিং এর পদ্ধতি। জীবনের ভবিষ্যতের জন্য একটু সুখের স্থান খুঁজে নেওয়ার জন্য মানুষ একটা সুন্দর চাকরি সন্ধানে ঘুরে বেড়ায় তাও যদি হয় সেটা আউটসোসিং। আউটসোর্সিং চাকরি বলতে বোঝায় কোন সরকারি দপ্তরে নিজস্ব বা রাজস্বখাত ভুক্ত কর্মচারী না থাকায় কোন কোম্পানির মাধ্যমে জনবল সংগ্রহ করা হচ্ছে আউটসোর্সিং প্রক্রিয়া। আউটসোর্সিং নিয়োগ এটা একটা দুর্নীতির পদ বেঁচে নিয়েছেন সরকারি দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন আমলারা। সরকারি চাকরিতে জনবল আউটসোর্সিং করা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে না না ধরনের মতামত দেখা দিয়েছে। এদিকে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে দেখা যাচ্ছে যে, আউটসোর্সিং মাধ্যমে জনবল সংগ্রহ করে নিয়োগের প্রক্রিয়ায় লেনদেনসহ দুর্নীতি হচ্ছে। আবার এভাবে চাকরি প্রার্থীরা বলছেন যে, এবং বিভিন্নভাবে দেখা যাচ্ছে একটুখানি উনিশের চেয়ে বিশ হলে হলে নানা-বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন তেমনি আবার তাদের অনেকভাবে চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে। বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) অধীনে কিছু জনবল ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে নিয়োগ দেওয়া হয় প্রথম ধাপে সিকিউরিটি গার্ড নিরাপত্তা প্রহরে পদে এবং তার দ্বিতীয় ধাপে নিয়োগ দেওয়া হয় ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে ক্লিনার পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে। ইউআইটিআরসিই (ব্যানবেইস) দুই পদে মোট ২৫০জন জনবল নিয়োগ দেওয়া হয় এতে আবার কিছু চাকরিচ্যুত করা হয় কর্মচারীদেরকে। বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) এর শিক্ষা মন্ত্রণালয় মেসাস মোস্তফা কোম্পানি নামে এক প্রতিষ্ঠানকে ২৫০জন জনবলের টেন্ডার দেওয়া হয়। মোস্তফা কোম্পানি নামক প্রতিষ্ঠানটি
টেন্ডারের মাধ্যমে প্রতি জনের নিকট থেকে ২০ হাজার টাকা জামানত নেওয়া হয়। সেই মোস্তফা কোম্পানি লিমিটেড প্রতিষ্ঠানটি কিছু বছর পরিচালনা করার পর নতুনভাবে আবার টেন্ডার দেওয়া হয় মেসার্স গালিব এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড প্রতিষ্ঠানকে। তারাও প্রতিজনের নিকট থেকে ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় জামানত বাবদ। এটা কি দুর্নীতির পদ সরকারি আমলাদের সৃষ্টি করা না একই মুরগি বারবার জবাই করার মত। এভাবে বিভিন্ন শিরোনামে এক প্রতিবেদনে সরকারি চাকরিতে আউটসোর্সিং এর ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও অনিয়মের নানা অভিযোগ উঠে আসছে। ২০১৬ সালে আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে ১২৫ জন কর্মী সরবরাহের জন্য বিজ্ঞতি দেয় ইউআইটিআরসিই (ব্যানবেইস) শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রথম যে ধাপে জনবল নিয়োগ দেয় সিকিউরিটি গার্ড নিরাপত্তা প্রহরী এই সরবরাহের কার্যাদেশ পায় মোস্তফা এন্ড কোম্পানি লিমিটেড প্রতিষ্ঠানটি। সংস্থাটি সরবরাহেকৃত জনবল পদায়ন করা হয় বিভিন্ন জেলা, উপজেলা পর্যায়ের ইউআইটিআরসিই (ব্যানবেইস) বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য পরিসংখ্যান ব্যুরো অফিসগুলোতে। এক বছরের মেয়াদে নেওয়া হয়। তারপর আবার চার বছরের জন্য মেয়াদ করে নেয় মেসার্স মোস্তফা এন্ড কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তির নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ব্যানবেইস। জনবল নিয়োগ দেওয়া এবং কিছুদিন পর এসব পদে আবার লোক নিয়োগ দেওয়া এটা দুর্নীতি আখড়া ছাড়া কিছুই না। চাকরি দেওয়া/চাকরিচ্যুত করা লোক নিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হলেই আর্থিক লেনদেনের ও সুযোগ সৃষ্টি করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা টিভি গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, এসব কর্মচারীদের টাকার বিনিময় তাদেরকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। চাকরিচ্যুত কর্মীদের বেশ কয়েকজনেই মুক্তিযুদ্ধের প্রতিবেদন কে তাদের এভাবে চাকরি পাওয়া এবং চাকরি চলে যাওয়ার কথা সরাসরি জানিয়েছেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, দুই থেকে সাড়ে চার লক্ষ টাকার পর্যন্ত ঘুষ দিয়ে চাকরি নিয়েছিলেন ২৫০ জন জনবল। এভাবে তারা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সরকারের চোখে ধোকা দিয়ে এই আউটসোর্সিং পদ সৃষ্টি করার কৌশল। জনবল সরবরাহের জন্য নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান মেসার্স গালিব এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের হাতে ঘুরে অধিদপ্তর বা মন্ত্রণালয় নীতি নির্ধারকদের কাছে পৌঁছানোরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে সাম্প্রতিক এমন কয়েকটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আউটসোর্সিং এর নবায়ন ও নতুন নিয়োগের এই পদ্ধতি থেকে দুর্নীতি দূর করার নির্দেশ দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইউআইটিআরসিই (ব্যানবেইস) এর সাম্প্রতিক এক চাকরিচ্যুত একজন নিজের মনের কষ্টের অভিজ্ঞতা থেকে জানিয়েছেন আমি জানি আউটসোর্সিং এর চাকরি কোন নিশ্চয়তা নেই। তারপরও চাকরি পাওয়ার জন্য টাকা দিয়েছি। কি আর করব? বয়স তো চলে যাচ্ছে, সংসার চালানোর মতো একটা চাকরি পাচ্ছি না। কোন উপায় না পেয়ে এখানে টাকা দিয়ে চাকরি নিয়েছি। আউটসোর্সিংয়ের এমন চাকরিতে বাৎসরিক কোন উৎসব ভাতা বা বোনাসও নেই, আর পেনশন বা গ্র্যাচুইটিও কোন সুযোগ নেই। নতুনভাবে আউটসোর্সিং করে আবার জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়ায় হচ্ছে আর্থিক লেনদেন বা ঘুষের সুযোগ সুযোগই এই চাকরিচ্যুতির প্রধান কারণ লক্ষণ। নতুন করে নিয়োগ মানেই হচ্ছে নতুন করে টাকা আদায় করার সুযোগ সৃষ্টি করা। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাও আউটসোর্সিং পদ্ধতির ঠিক এ জায়গাটি থেকে অনিয়ন দূর করার নির্দেশ দিয়েছে। এমতাবস্থায় সরকারের উচিত আউটসোর্সিং পদ্ধতি বন্ধ করে সরকারি ভাবে জনবল নিয়োগ দিয়ে সোনার বাংলাদেশ থেকে দূর্নীতি মুক্ত করার প্রত্যয়ে এই বিষয়টি পূর্ণ বিবেচনা করার পাশাপাশি আউটসোসিং নীতিঠিক সংশোধন ও পূর্ণ বিবেচনা প্রয়োজন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss