জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাইর হাতে ভাই খুন।
মুক্তিযোদ্ধা টিভিঃ এইচ এম মনিরুজ্জান লিডার/বিভাগীয় প্রতিনিধি (বরিশাল): জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভাইর হাতে ভাই খুন হয়েছে বলে এমন অভিযোগ করেন, মৃত দিনমজুর আলমঙ্গীর সরদার ৪৭ এর স্ত্রী শেফালী বেগম ৩৫।
ঘটনাটি ঘটেছে ১৪ জুন শুক্রবার বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের আধুনা গ্রামে।
মৃত আলমঙ্গীর সরদারের স্ত্রী সেফালি বেগম অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে, আমর আপন দেবর মুদি ব্যাবসায়ি শাহাজালাল সরদার শাহা ৩৮ আমার স্বামীর বসত ভিটার জমি নিয়ে প্রায় ই বাকবিতন্ডা করে জোর পূর্বক বসত ভিটা দখলের পায়তারা সহ আমার স্বামীকে একাধিক বার খুন করার হমকি দিয়ে আসছিলেন দেবর শাহা ও তার স্ত্রী ঝুমুর বেগম।
অপরদিকে নানান লোকের ধারনা মতে সদ্য সমাপ্ত গৌরনদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন এ জয় পরাজযের জের ধরে কোন প্রাথীর পক্ষে সমার্থন করা নিয়ে এই হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে কিনা ? এমন প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের আলমঙ্গীরের স্ত্রী শেফালী বেগম বলেন, আমার স্বামী রাস্তায় নেমে কাউর নির্বাচন করে নাই। এমনকি তার কোন পছন্দের প্রার্থীও ছিলনা তার নিজ ইচ্ছায় পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। তাই নির্বাচনকে ঘীরে আমার স্বামীর এমন কোন শক্রু ছিল না বলে জানিয়েছেন স্ত্রী সেফালী বেগম।
স্বামী আলমঙ্গীর সরদারকে হত্যার দায় হিসাবে এক মাত্র তার দেবর শাহাজালাল শাহা ও তার স্ত্রী ঝুমুরকে দায়ী করছেন স্ত্রী শেফালী বেগম । এ ছারা আরো বলেন দেবর শাহাকে আইনের আওতায় আনা হলে প্রকৃত হত্যাকারীদের চিহ্নিত করা সহজ হবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি। তিনি আরো বলেন বসত ভিটাই হত্যার এক মাত্রই কারন।
তার ই ধারাবাহিকতায় গতকাল ১৩ জুন বিকেলে তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে আমার স্বামীর সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন আমার দেবর শাহা ও তার স্ত্রী ঝুমুর।
আমার স্বামীকে হত্যা না করে ঘরে ফিরবেনা বলে এমন হুমকি দিয়ে ঘর থেকে বেড়িয়ে যান চন্দ্রহার বাজারের মুদি ব্যাবসায়ি আমার দেবর শাহাজালাল শাহা।
সেই পুর্ব পরিকল্পনার অংশ হিসাবে গতকাল রাত থেকেই আমার স্বামী ঘরে না ফেরায় বিভিন্ন জায়গায় খোজাখুজি করে কোথাও তার সন্ধ্যান করতে না পেরে অসহায় হয়ে পরি।
১৪ জুন শুক্রবার সকালে একই গ্রামের আতাহার সরদারের পুত্র গাছ ব্যাবসায়ী বাচ্চু সরদার তার পুকরে মুখমণ্ডল ধুতে গিয়ে লাশ দেখতে পেয়ে, ভয়ে ডাক- চিৎকার দেন। এতে লোকজনের উপস্থিতি হলে স্হানীয়রা আলমগীরকে চিনে ফেলেন। এবং তৎখনাত উপস্থিতি লোকজন গৌরনদী থানা পুলিশ ও ডুবুরীদের খবর দিলে তারা ঘটনা স্হানে উপস্থিত হয়ে আলমগীরের লাশ পুকুর থেকে উত্তোলন করেন। ও সুরতহাল কাজ শেষে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আলমগীরের লাশ ময়না তদন্তর জন্য প্রেরন করেন গৌরনদী থানা পুলিশ।
Leave a Reply