বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের মৌলভীবাজার জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। মোহাম্মদ কবির উদ্দিনকে সভাপতি ও মোহাম্মদ গিয়াস মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল থেকে অনুমোদন পেয়েছে।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মো: সোলায়মান মিয়া ও মহাসচিব মো: শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ৩০ জুন ২০২২ তারিখে প্রেরিত এক পত্রে পূর্ণাঙ্গ এ কমিটি অনুমোদনের কথা জানিয়ে বলা হয়, সিলেট বিভাগ ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে সমন্বয় করে, গঠনতন্ত্রের আইন-কানুন মেনে সংগঠন পরিচালনা করতে হবে। ৬ মাসের মধ্যে সকল ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে, গঠনতন্ত্র ও রাষ্ট্র বিরোধী কোন কাজে জড়িত থাকলে কমিটি বাতিল বলে গণ্য হবে। এই কমিটির মেয়াদকাল দুই বছর। এই কমিটির সদস্য বৃদ্ধি ও পরিবর্তন বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল।
এই পত্র জারীর ১৫ দিনের মধ্যে পরিচিতি সভা ও স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
সংগঠনের ৫১ বিশিষ্ট জেলা কমিটি নিম্নরূপ:
সভাপতি মোহাম্মদ কবির উদ্দিন, সহসভাপতি রাসেল মতলিব তরফদার, সাহিদুর রহমান সাদি, মুহাম্মদ আব্দুল বাতিন ও মতিকুর রশিদ চৌধুরী কামরান; সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ গিয়াস মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুজ্জাতুল ইসলাম ফারুক ও মো: রুবেল রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: সেলিম উদ্দিন, মো: রবিউল ইসলাম, আব্দুল মুক্তাদির নাছের ও বদরুল ইসলাম; মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক মির্জা হামিদা বেগ আনিকা, সহ-মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক ফারজানা আক্তার এনি, অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক আতিকুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক- শিমুল মিয়া, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক নয়ন সরকার, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ মিজান, দপ্তর সম্পাদক পরিমল মালাকার, উপ দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ সুজেল আহমদ, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আফিকুল ইসলাম মিলাদ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা কমর উদ্দিন ও বাকু পাল, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক লোকমান আহমদ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সাখাওয়াত খান, আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক মো: আমির হোসাইন, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক উত্তম কুমার ভট্টাচার্য রাহুল, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সুধাময় সূত্রধর।
সদস্যরা হলেন শিমুল কান্তি পাল, মুজিবুর রহমান চৌধুরী মামুন, মোজাহিদ আহমদ ফয়েজ, এমদাদুল হক সুলতান, কমর উদ্দিন বাদশা, মো: জাহাঙ্গীর অালম, নোমান উদ্দিন চৌধুরী শিপু, আজিজুর রহমান, মুজিবুর রহমান পাবলু, রুহুল আমিন, বকুল চন্দ্র চুনার, মঞ্জুর আহমদ আজাদ, মো: আহাদ মিয়া, মো: ইমরান হোসেন, মো: নিজাম উদ্দিন, মো: শাকিব খান, মো: মুমিন আহমদ, ফকির আলী শাহ, পলি খানম, মো: মেহেদী হাসান রুমান, অনিমা রানী কর, রেহানা বেগম ও নিঝম বৈদ্য।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের মৌলভীবাজার জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দসহ সকল সদস্যকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য, সাপ্তাহিক নতুন কথার বিশেষ প্রতিনিধি, আরপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট কমরেড সৈয়দ আমিরুজ্জামান বলেন, “’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ নিছক একটি ভূখণ্ড লাভ কিংবা পতাকা বদলের জন্য হয়নি। নয় মাসব্যাপী এই যুদ্ধ ছিল প্রকৃত অর্থেই মুক্তিযুদ্ধ। দেশের কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষ এই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন সার্বিক মুক্তির আশায়। জনগণের এই অাকাঙ্খা মূর্ত হয়েছিল ’৭২-এর সংবিধানে। বাংলাদেশ যদি একটি আধুনিক ও সভ্য রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চায়, যদি আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি নিশ্চিত করতে চায়, যদি যুদ্ধ-জেহাদ বিধ্বস্ত বিশ্বে মানবকল্যাণ ও শান্তির আলোকবর্তিকা জ্বালাতে চায় তাহলে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ-মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তথা ৪ মূলনীতিকে দৃঢ়ভাবে অনুসরণ ছাড়া আমাদের সামনে অন্য কোনো পথ খোলা নেই। ‘৭১-এর বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে গর্বের সাথে সেই রাজনৈতিক সংগ্রাম ও শুদ্ধি অভিযানে নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হবে।”
Leave a Reply