নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্ধকৃত একক শয্যা বিশিষ্ট ১টিমাত্র কেবিনের পাশাপাশি নূন্যতম ৪ শয্যা বিশিষ্ট পৃথক একটি কেবিনের জোর দাবী জানাই।
বীর মুক্তিযোদ্ধাগন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান।১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাগন এদেশ স্বাধীন করেছেন। তারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। বাংলাদেশের মূল মালিক বীর মুক্তিযোদ্ধারা। নড়াইল জেলায় একজন বীরশ্রেষ্ঠ সহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। সারা বাংলাদেশর মধ্যে নড়াইল জেলায় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যায় ২য়। সরকারী বরাদ্ধ না থাকলেও নড়াইলের সকল বীরমুক্তিযোদ্ধা, তাঁদের সন্তানগণের নিজ অর্থায়ন অথবা নড়াইলের মাননীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ এবং স্থানীয় আগ্রহী বিভিন্ন দাতাপ্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিবর্গের সার্বিক সহযোগীতা সহ আর্থিক অনুদানে কাজটি খুব সহজেই করা যেতে পারে।
যেহেতু অধিকাংশ বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ অতিশয় বয়স্ক ও অসুস্থ্য বা যে কোন মূহূর্তে অসুস্থ্য হবার সম্ভাবনা প্রকট, সেহেতু নড়াইল সদর হাসপাতালের বরাদ্ধকৃত একটিমাত্র কেবিন অধিকাংশ সময়ে খালি না থাকায় প্রায়শই অপেক্ষারত অসুস্থ্য বীরমুক্তিযোদ্ধাগন হাসপাতালে শয্যা না পেয়ে ফ্লোরে বা যত্রতত্র মানবেতর ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন বা বঞ্চিত হচ্ছেন। মুক্তিযোদ্ধা টেলিভিশন এর একান্ত এক সাক্ষাতকারে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ইঞ্জিনিয়ার খসরুল আলম পলাশ বলেন,”” কর্তৃপক্ষের আন্তরিক অনুমতি ও আমাদের সামান্য একটি উদ্যোগ ও আর্থিক অনুদানে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের চিকিৎসা ব্যাবস্থা আরো উন্নত, অনুকরনীয় ও আস্থাশীল হতে পারে।
(যথাযথ কর্তৃপক্ষ সুযোগ দিলে আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসাবে উল্লিখিত কেবিন তৈরীর কাজে ব্যয়ের জন্য নগদ ১,০০,০০০ টাকা অনুদান সহ পর্যায়ক্রমে সাধ্যমত চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রদানে আন্তরিকভাবে আগ্রহী রয়েছি। ) এছাড়াও এই দাবির সাথে নড়াইল জেলার সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান একমত পোষণ করেন। এবং এই দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান।
Leave a Reply