1. admin@muktijoddhatv.xyz : admin :
  2. mainadmin@muktijoddhatvonline.com : mainadmin :
শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:০৮ অপরাহ্ন

ফুটবল টুর্নামেন্টের ম্যাচ ফিক্সিং অভিযোগ শিক্ষক পরিষদ সচিবের বিরুদ্ধে।

মোঃ মহিউদ্দিন সুমন, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা টেলিভিশন
  • Update Time : বুধবার, ২২ মার্চ, ২০২৩
  • ২৮৭ Time View

ফুটবল টুর্নামেন্টের ম্যাচ ফিক্সিং
অভিযোগ শিক্ষক পরিষদ সচিবের বিরুদ্ধে।

মোঃ মহিউদ্দিন সুমন,
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:

পটুয়াখালী সরকারি কলেজে ‘প্রিন্সিপাল কাপ’ আন্ত ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এ টুর্নামেন্টে কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক প্রফেসর জাফর ইকবাল ও যুগ্ম-সম্পাদক প্রফেসর সেলিম হোসেন সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছে । এবং এ বিষয়ের কিছু ভিডিও সাংবাদিকদের হাতে এসেছে।

সম্প্রতি কলেজে ‘প্রিন্সিপাল কাপ’ নামে আন্ত ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। সেখানে ১৬ টি বিভাগ,ডিগ্রী ও দ্বাদশ থেকে মোট ১৮ টি দল অংশ নেয়।

গত ১৬ই ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বনাম ইংরেজি বিভাগের মধ্যকার খেলা শুরুর ১৫ মিনিটের মধ্যে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ প্রথম গোল দেয়। এরপর শুরু হয় নাটক। রেফারি ও শিক্ষক পরিষদ সচিব জাফর ইকবাল, যুগ্ম-সম্পাদক সেলিম হোসেন সহ ইংরেজি বিভাগের শিক্ষকদের আত্ন-কথোপকথনের ৬ থেকে ৭ মিনিট পর রেফারি অফসাইড এর সংকেত দিয়ে গোল বাতিলের সিদ্ধান্ত জানালে সাধারন শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে ।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে তুমুল বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে পরেন সম্পাদক জাফর ইকবাল, যুগ্ম- সম্পাদক সেলিম এবং রেফারী।

তবে ভিডিওটিতে দেখা যায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উপযুক্ত কোন জবাব তারা দিতে পারেনি।

ভিডিওতে আরো দেখা যায় শিক্ষক পরিষদের সচিব জাফর ইকবাল উচ্চস্বরে মেজাজ হারিয়ে ভুক্তভোগী রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকদের হুমকি দিতে থাকেন।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষক খেলা আয়োজক কমিটির সদস্যকে ইঙ্গিত করে বলেন ,“You are the member of the committee. সুতরাং তুমি কোনো কথা বলবা না।”

প্রায় দেড় ঘন্টা পর কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নুরুল আমিন ঘটনাস্থলে আসলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়।

তিনি সব ঘটনার বিস্তারিত শুনে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের গোল বহাল রাখার সিদ্ধান্ত দেন।

কিন্তু তার এই কথা অমান্য করে জাফর ইকবাল ও সেলিম হোসেন বিরোধিতা শুরু করেন ।এ সময় সেলিম হোসেন অধ্যক্ষকে বলেন-“স্যার রেফারির সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত ,সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হলে রেফারি আর কখনো খেলা পরিচালনা করবেন না”।

এভাবে তাদের একচেটিয়া আধিপত্যের কারনে স্বয়ং অধ্যক্ষ মহোদয় পুনরায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে বাধ্য হন। একপর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে আবার উত্তেজনা দেখা দিলে অধ্যক্ষ মহোদয় হাত জোর করে ক্ষমা চেয়ে মাঠ ত্যাগ করেন।

শেষ পর্যন্ত সম্পাদকের দৌরাত্ম্যে খেলা পুনরায় শুরু হয় এবং ইংরেজী বিভাগ জয় লাভ করে। কিন্তু তাদের সে জয় দীর্ঘস্থায়ী হয়নি । আজ ফাইনালে দ্বাদশ গ্রুপের সাথে শোচনীয়ভাবে হেরে যায়।

তবে সাধারন শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন – সম্পাদক ও যুগ্ম-সম্পাদকের এমন কর্মকান্ডের উদ্দেশ্য কি ?
হতে পারে তাদের প্রভাব কিংবা আধিপত্ব্যের জানান দেয়া। এমনটি হলেও ক্রিয়াঙ্গনে তার প্রতিফলন কতটা যুক্তিযুক্ত।
এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ নুরুল আমিনের সাথে মুঠোফোনে (01309102596)একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক পরিষদের সচিব প্রফেসর জাফর ইকবালের সঙ্গে মুঠোফোনে (01816641489) একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss