পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ‘আনসার আল ইসলাম’ জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার
মোঃ মহিউদ্দিন সুমন,
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’ এর সক্রিয় সদস্য মোঃ আব্দুর রহমান (৩৬) কে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিট। গ্রেফতারকৃত আব্দুর রহমান রহমতপুর এলাকার মৃত জব্বার মুন্সির ছেলে।
আজ রবিবার (২ এপ্রিল) প্রত্যুষে জেলার কলাপাড়া পৌর শহরের রহমতপুর এলাকা থেকে পুলিশের এন্টিটেররিজম ইউনিটের উপ-পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রহিম চৌধুরীর নেতৃত্বে আব্দুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে দুইটি এন্ড্রয়েড মোবাইল সেট, একটি ফিচার ফোন, জঙ্গিবাদ সংশ্লিষ্ট দুটি বই, একাধিক সিম কার্ড ও মেমোরি কার্ড সহ তার নিজ হাতে লেখা বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির প্যাড খাতা জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় কলাপাড়া থানায় আব্দুর রহমান সহ অজ্ঞাত আসামিদের নামে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আব্দুর রহমান তার ফেসবুক আইডি M.A. Rahman Mujahid ব্যবহার করে নিষিদ্ধ ঘোষিত উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’ এবং সংগঠনটির নেতা জসিম উদ্দিন রাহমানির পক্ষে ও সমর্থনে বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টি ও জননিরাপত্তা বিপন্ন করা, দেশে ত্রাস ও আতঙ্ক ছড়ানোর উদ্দেশ্যে অনলাইন ও সাইবার স্পেস এর মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক ব্যবহার করে উগ্রবাদী ও জঙ্গি মতবাদ প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছিল।
সূত্রটি আরও জানায়, আব্দুর রহমান তার ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে অনলাইন ও সাইবার স্পেস এর মাধ্যমে তার ব্যবহৃত এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন দিয়ে বিভিন্ন উগ্রবাদী ফেসবুক পেইজ, বিভিন্ন সশস্ত্র জিহাদি মতাদর্শের ফেসবুক আইডির পোস্ট ও ভিডিও সমূহ পোস্ট শেয়ার এবং সমমনাদের পোস্টে লাইক ও কমেন্ট করে তথাকথিত ইসলামিক খেলাফত প্রতিষ্ঠা করার মতবাদ প্রচার করতো।
এন্টি টেররিজম ইউনিটের উপ-পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রহিম চৌধুরী বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামি আব্দুর রহমান অজ্ঞাত সহযোগী আসামিদের সহায়তায় ও যোগসাজসে নিষিদ্ধ ঘোষিত সত্তার সদস্য দাবি করে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট এর মাধ্যমে অনলাইনে নিষিদ্ধ সত্তার সমর্থন করার আহবান করে অপরাধ সংঘঠনের ষড়যন্ত্র ও চেষ্টা করে। আসামিকে সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আজ রবিবার দুপুরে আদালতের সোপর্দ করা হয়েছে।
উপ-পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রহিম আরও বলেন, এন্টি টেররিজম ইউনিট, বাংলাদেশ পুলিশের একজন পদস্থ কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত করবেন। তদন্তের স্বার্থে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ড চওয়া হতে পারে।
Leave a Reply