1. admin@muktijoddhatv.xyz : admin :
  2. mainadmin@muktijoddhatvonline.com : mainadmin :
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১৪ পূর্বাহ্ন

ছাত্রলীগের নেপথ্যে তৈরী হচ্ছে ছাত্রদল!

অপূর্ব সরকার, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা টেলিভিশন
  • Update Time : রবিবার, ২ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৯৬ Time View

ছাত্রলীগের নেপথ্যে তৈরী হচ্ছে ছাত্রদল!

অপূর্ব সরকার,
বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা টিভি

পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির প্রথম পদক্ষেপেই সমালোচনার সৃষ্টি।

গত ১৫ই মার্চ (বুধবার) রাঙ্গাবালী উপজেলা ছাত্রলীগ ও রাঙ্গাবালী কলেজ ছাত্রলীগের কর্মীসভা করে নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে জীবন বৃত্তান্ত সংগ্রহ করে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগ । পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা ভঙ্গ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেজবুকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দেয়া হয় রাঙ্গাবালী উপজেলা ছাত্রলীগ ও কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি। কর্মীসভার এক সপ্তাহ পর গত ২২ মার্চ (বুধবার) পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান আরিফ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদের ফেজবুক আইডি থেকে কমিটি ঘোষণা করা হয়।

তবে এর আগে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে ১০ টি নির্দেশনা প্রদান করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। যার মধ্যে রয়েছে- জেলা, মহানগর, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সম্মেলন ব্যতীত তাদের অধীনস্থ কোন ইউনিটের কমিটি গঠন করা যাবে না।

কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কমিটি দেয়ায় না না মহলে তৈরি হয় সমালোচনার ঝড়। এরই মাঝে প্রকাশ্যে আসে আর এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। গুঞ্জন শোনা যায় রাঙ্গাবালী উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে স্থান পাওয়া একাধিক নেতার সাথে রয়েছে বিএনপির সংশ্লিষ্টতা। কারো পরিবার বিএনপির সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে সংশ্লিষ্ট কেউ আবার পূর্বে সরাসরি জড়িত ছিলো নিজেই।
সমালোচনা জেনো পিছু ছাড়ছে না সাইফুল-আরিফের। জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি গঠনের দিনই সমালোচনার বোঝা কাঁধে চেপে বসে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান আরিফের।

গত বছরের ৯ নভেম্বর (বুধবার) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাইফুল ইসলামকে সভাপতি এবং তানভীর হাসান আরিফকে সাধারণ সম্পাদক করে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের ৫৭ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা করার পর নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক আরিফ’কে শুভেচ্ছা জানিয়ে আনন্দ মিছিল করে তার সমর্থকরা। ওই আনন্দ মিছিলে বিএনপি ও শহীদ জিয়ার স্লোগান দেওয়ার একটি ভিডিও ফেইসবুকে ভাইরাল হয়। যা নিয়ে তাৎক্ষণিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়েছে। এমন নেক্কার জনক ঘটনায় তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বিষয়টি নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন মন্তব্যে হতাশা প্রকাশ করেন। 

শুরু থেকেই জেনো বিএনপির গন্ধ লেগে আছে জেলা ছাত্রলীগের গায়। নেতা-কর্মীদের মাঝে তৈরী হয় হতাশার।

এ ঘটনার রেস কাঁটতে না কাঁটতেই আবার শুরু নতুন ঘটনার।

• রাঙ্গাবালী উপজেলা ছাত্রলীগের নব গঠিত কমিটির সভাপতি আরিফ হোসেন। যাকে দেখা যায় জেলা বিএনপির ফ্রন্ট লাইনের নেতাদের সাথে একই ছবির ফ্রেমে। এই ছবি সংগ্রহীত রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় একসময় ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী ছিলো এই আরিফ। এখনো আড়ালে সংশ্লিষ্ট রয়েছে বিএনপির সঙ্গে। যা নিয়ে ইতিমধ্যে ফেজবুকে বিভিন্ন লেখালেখি চলছে।

রাঙ্গাবালী বার্তা নামের একটি ফেজবুক পেইজ থেকে জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ্য করে লেখা হয়েছে – ‘ছাত্রদলের ছেলেগুলোকে রাঙ্গাবালী উপজেলা ছাত্রলীগে যায়গা দেওয়ায় ধন্যবাদ সাইফুল-আরিফ।’

• রাঙ্গাবালী উপজেলা ছাত্রলীগের ১নং সহ-সভাপতি মাহমুদ হোসেন টিটু। যার আপন চাচা মোঃ শাহিন ফরাজী ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায় তিনি এখনো সরাসরি যুক্ত আছেন বিএনপির রাজনীতিতে।
কমিটির ২ নং সহ-সভাপতি মোঃ ইমরান মাহমুদ। যার আপন চাচা মোঃ আব্বাস উদ্দীন হাওলাদার বর্তমান উপজেলা বিএনপির যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

• কমিটির ৬ নং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ শিমুল। যার মা মোসাঃ সাহিদা গাজী ১৫ নং চরমোন্তাজ ইউনিয়ন বিএনপির কার্যনির্বাহী সদস্য।

প্রথমে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উপজেলা ছাত্রলীগের ২৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি প্রকাশের কিছুক্ষণের মধ্যেই আরেকজন যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক মোঃ রায়হান এর নাম দিয়ে ২৫ বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে ফেইজবুকে প্রকাশ করে সভাপতি-সম্পাদক।

• অলৌকিক ক্ষমতায় শেষে যুক্ত হওয়া এই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ রায়হান সরাসরি জড়িত বিএনপির রাজনীতিতে। রায়হানের নিজের তোলা একটি সেলফিতে রায়হানকে দেখা যায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আলহাজ্ব এ বি এম মোশাররফ হোসেনের সাথে। এই ছবি নিজের ফেজবুক আইডিতে পোষ্ট করেন রায়হান। এই পোস্টের স্ক্রিনশট ও বিএনপি নেতার সাথে রায়হানের সেলফি সংগ্রহীত।

এছাড়া খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির ১৫ জনের মতোই রাজনীতির সঙ্গে খুব একটা জড়িত নয়। আর কমিটির বাকি প্রায় ১০ জনের সাথেই রয়েছে বিএনপির সংশ্লিষ্টতা। এছাড়া জেলা ছাত্রলীগের একাধিক নেতা কর্মী জানান, জেলা কমিটির নেতাদের সাথে কোনভাবে সমন্বয় না করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একক ক্ষমতা বলে কমিটি করেছে। জেলা ছাত্রলীগের সুপার কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সাথে সমন্বয় না করে একক ক্ষমতা বলে কিভাবে কমিটি গঠন করা হয়? এমনটাই প্রশ্ন জেলা ছাত্রলীগের একাধীক নেতৃবৃন্দের।

রাঙ্গাবালী উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মোঃ নেছার খান বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলতে পারি কমিটিতে যাদের রাখা হয়েছে তারা ননপলিটিক্যাল। কখনো তেমনভাবে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলো না। আর বাকি যারা আছে তাদের বিএনপির সাথে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। আমি উপজেলার সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলাম। ছাত্রলীগের জন্য বহুবার হামলা-মামলার স্বীকার হয়েছি। অনেক শ্রম দিয়েছি। আমাকে কমিটিতেই রাখলো না। যাদের রাখলো তাদের এই অবস্থা।আমি নেই ঠিকাছে, তাও মেনে নিলাম। কিন্তু যাদের কমিটিতে রাখছে তারা যদি যোগ্য হতো তবে আমার কোন বক্তব্য থাকতো না।

পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির প্রথম পদক্ষেপে এত বড় ভুল কিভাবে হলো? নাকি জেনে শুনেই বিএনপি জামাত সংশ্লিষ্ট ছেলেদের কমিটিতে এনেছে। এমন প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে নানা মহলে।

আরও অবাক করা বিষয়, জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক তানভীর হাসান আরিফকে নিয়েও রয়েছে বিএনপি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ। তার পরিবার বিএনপির রাজনীতিতে ওতোপ্রোতভাবে

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss