আজ বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ শিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল এর ৫২ তম শাহাদাত বার্ষিকী।
আশরাফুল আলম সজিব (ভোলা) বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা টেলিভিশন।
১৯৪৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভোলা জেলার দৌলতখান থানার পশ্চিম হাজিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল। তাঁর বাবা হাবিবুর রহমান ছিলেন সেনাবাহিনীর হাবিলদার। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড় মোস্তফা কামালের ছোটবেলা থেকেই ভালো লাগত সৈনিকদের কুচকাওয়াজ। নিজেও স্বপ্ন দেখতেন একদিন সৈনিক হবেন। ১৯৬৭ সালে বাড়ি থেকে পালিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ক্রমশই স্বাধীনতার দাবিতে সারা দেশ উত্তাল হতে শুরু করে। ১৯৭১ সালে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। সিপাহি মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ১৬ এপ্রিল একটি মুক্তিযোদ্ধা দল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিকে এগিয়ে আসা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে ঠেকানোর জন্য আখাউড়ার দরুইন গ্রামে অবস্থান নেয়। ১৮ এপ্রিল সকাল ১১টার দিকে প্রবল বৃষ্টি। শুরু হয় শত্রুর গোলাবর্ষণও। মুক্তিযোদ্ধারাও পাল্টা গুলি ছোড়ে। পরিস্থিতি সম্মুখযুদ্ধের রূপ নেয়। এমন সময় এক এক করে দুই মুক্তিযোদ্ধার বুকে গুলি লাগলে মোস্তফা কামাল সহযোদ্ধাদের নিরাপদে সরে যেতে বলেন। তাঁর সহযোদ্ধারা নিরাপদে চলে গেলে অবিরাম গুলি চালান তিনি। মারা পড়ে বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি সেনা। একপর্যায়ে মোস্তফা কামালের গুলি শেষ হয়ে যায়। হঠাৎ করেই একটি গুলি এসে লাগে তাঁর বুকে। সেখানেই শহীদ হন তিনি। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাঁকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত করে।
Leave a Reply