সিপিসি-১ (কুষ্টিয়া) র্যাব-১২’র অভিযানে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার চককৃষ্ণপুর গ্রামের মোঃ মারুফ হোসেন অপহরণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার।
মোঃ আব্দুল আলিম, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি:
গত ২৫ এপ্রিল ২০২৩ইং… তারিখ রাত ৮:৩০ ঘটিকার সময় কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলায় চোককৃষ্ণপুর গ্রামে মোঃ মারুফ হোসেন (৩৫) নামে যুবককে অপহরণ করা হয়। এ প্রেক্ষিতে ২৮ এপ্রিল ২০২৩ইং.. তারিখে ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং ৭১/২৩৬, তারিখ: ২৮/০৪/২০২৩ইং.. ধারা-৩৬৫/৩৪ পেনাল কোড। পরবর্তীতে ০২ মে ২০২৩ইং.. তারিখ দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীরচর এলাকায় বালু ছাপা দেওয়া অবস্থায় একটি অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিখোঁজ মারুফ এর পরিবারের লোকজন মৃতদেহটি সনাক্ত করেন।
উক্ত হত্যাকান্ডের ঘটনাটি বিভিন্ন জাতীয় প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ফলশ্রুতিতে র্যাব আসামিদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখেন।
এরই ধারাবাহিকতায় সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ক্যাম্প র্যাব-১২’র একটি অভিযানিক দল র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় উক্ত অপহরণ ও হত্যাকান্ডের এজাহারনামীয় প্রধান আসামি বেনজির আহম্মেদ রুবেল (৩৫), পিতা-মৃত আবুল কালাম আজাদ, সাং-কাপড়পোড়া, থনা-দৌলতপুর, জেলা-কুষ্টিয়া’কে অদ্য ০৫ মে ২০২৩ইং.. তারিখে ভোর ৫:০০ ঘটিকায় সময় নাটোর জেলার লালপুর এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। আসামির দেখানো তথ্যমতে নিহত মারুফ এর মোটরসাইকেল দৌলতপুর উপজেলার আল্লারদর্গা এলাকা হতে উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামি রুবেল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোঃ মারুফ হোসেন হত্যাকান্ডে সে সক্রিয় ভাবে জড়িত আছে বলে জানা যায়। নিহত মারুফ এর সাথে মাদক ব্যবসার টাকা নিয়ে দ্বন্দের জেরেই উক্ত হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে জানা যায়। রুবেল ছাড়াও আরও ৭জন উক্ত হত্যাকান্ডে অংশ নিয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে আদালতে প্রেরণ করত: পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply