পাবনায় সংখ্যালঘু পরিবারের জায়গা জোরজবরদস্তি দখলের অভিযোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ
পাবনা প্রতিনিধিÑঃ পাবনায়ন কয়েকটি হিন্দু পরিবারের জায়গা জাল দলিল ভূয়া রেজিস্ট্রির মাধ্যমে জোরজবরদস্তি ভাবে দখল করে নিয়ে সেখানে পাকা ভবন নির্মাণ করছেন উপজেলার ডেমড়া বাস স্ট্যান্ড এলাকার প্রভাশালী বেলায়েত হোসেন। এমন অভিযোগে সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে পাবনা হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের ব্যানারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শেষে অবৈধ দখলের হাত থেকে জায়গা ফেরত পেতে ও পাকা ভবন নির্মাণ বন্ধের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পাবনা ফরিদপুরের ডেমড়া মৌজার বাসস্ট্যান্ডের পাশেই ক্ষিতিশ চন্দ্র শীল নামে হিন্দু পরিবারের ২৫ শতক জমি ছিল। এর মধ্যে ক্ষিতিশচন্দ্রশীল মারা যাওয়ার পর ১৯৮৩ সালে সরকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ নির্মাণ করায় পাউবো ’১০ শতক জায়গা নিয়ে নেয়। বাকী ১৫ শতক জায়গা ডেমড়া বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে প্রভাবশালী বেলায়েত হোসেন ওই জায়গা জাল দলিল রেজিষ্ট্রি মূলে জবর দখল করে সেখানে পাকা ভবন নির্মাণ করছেন। তারা আরও বলেন, ওই জমির সাথে পানি উন্নয়ন বোর্ডের যে অবশিষ্ট জায়গা রয়েছে সেটুকুও তনিদখল করে নিয়ে একই সাথে ি বিশাল পাকা ভবন নির্মাণ করছেন। এসব বিষয়ে অভিযোগ দেয়ার পরও পাউবো’ ও উপজেলা প্রশাসন নিরব ভূমিকায় রয়েছেন।
ওই সম্পত্তির এসএ ও সিএস রেকর্ডের মালিক ক্ষিতিশ চন্দ্র শীলের ছোট ছেলে শান্ত শীল বলেন, বাবা মারা যাওয়ার পর ৮৩ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাধ নির্মাণের জন্য সরকার ১০ শতক জায়গা নিয়ে নিলে ওই সময় ১০ হাজার টাকা আমার দাদা বাবুল শীল উত্তোলণ করেন। যার প্রমাণ আমাদের নিকট আছে। আমরা বসবাসের সুবিধার্থে বেড়া নানা বাড়ি থাকতে গেলে এরই মধ্যে আমাদের জায়গা বেদখল হয়ে যায়। আমাদের ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি দেখিয়ে ওই জায়গাতে যেতে দিত না। আমরা আমাদের জমি ফেরত চাই। ওখানে বেলায়েত জোর জবরদস্তি করে দখল করে নিয়ে সেখানে পাকা ভবন নির্মাণ করছেন। আমরা প্রশাসনের কাছে অতিসত্ত্বর ওই পাকা ভবনের নির্মান কাজ বন্ধ করে দেয়া্র দাবী জানাই।
হিন্দুদের জায়গা দখলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে পাবনা জেলা পুজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি প্রভাত কুমার দাস বলেন, নবাগত জেলা প্রশাসকের নিকট আমরা দাবী করছি অতিসত্ত্বর ওই নালিশী সম্পত্তিতে পাকা ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ হয় ও ওয়ারিশ মূলে তারা যেন সম্পত্তি ফিরে পায়। মানববন্ধনে ক্ষিতিশশীলের পরিবারের লোকজন, হিন্দু ও পুজা উদযাপন পরিষদের নেতা কমির্রা উপস্থিত ছিলেন।
জোর করে জমি দখলের ব্যাপারে বেলায়েত হোসেনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন. কারো জায়গা আমি দখল করছি না। আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে আমি পাকা ভবন তৈরি করছি। পাউবো’র জায়গা দখলের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে লীজ নিয়েছি।
এ ব্যাপারে পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী আফছার হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি বরাদ্দ পেলে অতিদ্রুত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবো।
উজ্জ্বল হোসাইন।
পাবনা।
০৭—০৮—২০২৩ইং
বিঃদ্রঃ নিউজের সকল তথ্য প্রমান প্রতিনিধির নিকট সংরক্ষিত আছে।
Leave a Reply