রাঙ্গাবালীতে আদালতের আদেশ অমান্য, বাদী পক্ষ বিপাকে…
অপূর্ব সরকার,
বিশেষ প্রতিনিধি , পটুয়াখালী।
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে সেনের হাওলা মৌজার জেএল নং ১৪৭ এর ১৫৮ নং খতিয়ানের ৬৪১ দাগের ২১ শতাংশ বিরোধীয় জমিতে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে সায়েম প্যাদা গংদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনা রাঙ্গাবালী সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সেনের হাওলা গ্রামে।
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এমপি মামলা নং ৪৮০/২০২৩ এর ৮. ৮.২৩ ইং তারিখের আদেশ সূত্রে জানাগেছে, বাদী (১ম পক্ষ) রাঙ্গাবালী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সেনের হাওলা গ্রামের আঃ করিম ফরাজীর ছেলে নুর আলম ফরাজী কর্তৃক ৩১ জুলাই-২০২৩ ইং তারিখ একই এলাকার রত্তন আলী প্যাদার ছেলে বিবাদী মোঃ সায়েম প্যাদাকে সহ ৩ জনকে বিবাদী করে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৪৪/১৪৫ ধারার বিধান মোতাবেক বিজ্ঞ কৌসুলীর মাধ্যমে নালিশি দরখাস্ত দায়ের করেন।
বিজ্ঞ আদালত বাদী নুর আলম ফরাজী কর্তৃক নালিশী দরখাস্তের কাগজপত্রাদি পরীক্ষা করে ১ ম পক্ষের (বাদী নুর আলম ফরাজী) দাখিলকৃত দরখাস্তের বিষয়বস্তুর উপর সরেজমিনে শান্তি শৃংঙ্খলা বজায় রাখার জন্য অফিসার্স ইন চার্জ রাঙ্গাবালী থানাকে আদেশ দেন। এ ছাড়াও ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন ভূমি অফিসকে সরেজমিনে দখল/ মালিকানা সম্পর্কিত সুস্পস্ট প্রতিবেদন দেয়াসহ আদেশনামায় ২য় পক্ষকে কারন দর্শানোর কথা বলেছেন বিজ্ঞ গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিউদ্দিন আল হেলাল।
উক্ত আদেশ প্রাপ্তি হয়ে রাঙ্গাবালী থানার ওসি তার অধিনস্ত এএসআই ( নিঃ) মোঃ রফিকুল ইসলাম ৯ আগস্ট ঘটনাস্থলে সরেজমিনে গিয়ে বিবাদী (২য় পক্ষ) মোঃ সায়েম প্যাদা, মোসাঃ শিল্পী বেগম ও মোসাঃ আমেনা বেগমকে উক্ত তফসিল বর্নিত সম্পত্তিতে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ সংক্রান্ত নোটিশ প্রদান করেন। এ নোটিশ প্রাপ্তি হয়েও সায়েম প্যাদা গং আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে স্থাপনা নির্মান কাজ অব্যাহত রেখেছে বলে বাদী নুর আম ফরাজী জানান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সায়েম প্যাদা জানান, নোটিশ পেয়েছি পুলিশ ও ইউনিয়ন তহসিলদার কাজ বন্ধ করতে বলে নাই। শুক্রবার সকালে
রাঙ্গাবালী থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, আমি পুলিশ পাঠিয়েছিলাম, কাজ করছে জানিনা, আবার পুলিশ পাঠাচ্ছি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিরোধপুর্ন জমিতে সায়েম পয়াদাগং ইটদিয়ে স্থাপনার কাজ করছে বলে বাদী (১ম পক্ষ) নুর আলম ফরাজী অভিযোগ করেন।
উল্লেখ, উক্ত ৬৪১ নং দাগসহ একই খতিয়ানের ৬৩৩, ৬৩৫, ৬৪৪ ও ৫৯৩ সহ আরো কয়েকটি দাগের জমি বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ২০১৮ সালে মোকাম যুগ্ম জেলা জজ ২য় আাদালত পটুয়াখালীে দায়ের করা মামলা (মামলা নং-২৭৯/২০১৮) আদালতে চলমান আছে বলেও বাদী নিশ্চিত করেছেন।
Leave a Reply