পটুয়াখালীতে নাগরিক সমস্যা সমাধান নিয়ে কাজ করছে ৩ জন ইয়াং লিডার ফেলো
অপূর্ব সরকার,
বিশেষ প্রতিনিধি,পটুয়াখালী।
পটুয়াখালী পৌরসভার নাগরিক সমস্যা চিহ্নিত করা এবং উক্ত সমস্যার স্থায়ী সমাধানে করণীয় বিষয় নিয়ে ৩ জন ইয়াং লিডার ফেলোর পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার ( ১৮ সেপ্টেম্বর ) বেলা ১১টায় সদর রোডস্থ প্রেসক্লাব ভবনে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল ( ডি, আই ) ফেলো ব্যাচ-২৩ “পটুয়াখালী পৌরসভার ০৭ নং ওয়ার্ডের মজা পুকুরের বর্জ্য পরিষ্কার ও অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ” শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন করেন।
বক্তারা বলেন, ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল বাস্তবায়িত স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ প্রকল্পের আওতায় একটি ফেলোশিপ প্রোগ্রামে আমরা অংশ নিয়েছি। আমরা ৩ জন রাজনৈতিক কর্মী সহ সভাপতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ- মো: সব্যসাচী খান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জাতীয়তাবাদী মহিলা দল- মানসুরা খানম সুমি, সভাপতি জাতীয় ছাত্র সমাজ- মো:তরিকুল ইসলাম এবং ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের রাজনৈতিক ফেলো। আমরা তিন জন তিনটি ভিন্ন রাজনৈতিক দলের ভিন্ন মতাদর্শে বিশ্বাসী হলেও জনগণের কল্যাণে আমরা রাজনৈতিক নেতারা যদি মতাদর্শের পার্থক্যকে রাজনৈতিক গন্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে জনগণের কল্যানে একত্রিত হয়ে কাজ করি তাহলে অনেক নাগরিক সমস্যার সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারব।
পটুয়াখালী পৌরসভার নানা রকম নাগরিক সমস্যা চিহ্নিত করে এবং উক্ত সমস্যার স্থায়ী সমাধানে করণীয় তথা সুপারিশ সংক্রান্ত বিভিন্ন শ্রেনী পেশার নাগরিক এবং রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে নিয়ে আমরা ৩ জন ইয়াং লিডার ফেলোর পক্ষ থেকে ২৮/০৮/২০২৩ তারিখ “Workshop on Identifying Community Issues” শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করি। উহার মধ্যে একটি নাগরিক সমস্যা পটুয়াখালী পৌরসভার ০৭ নং ওয়ার্ডের মজা পুকুরের বর্জ্য এবং ময়লা আবর্জনাযুক্ত পুকুরটি পরিষ্কার ও সংস্করনের বিষয়টি সমাধানে কাজ করার উদ্যোগ নেই।
উক্ত নাগরিক সমস্যাটি প্রথমে সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায় সংশ্লিষ্ট এলাকার পুকুরটি এবং তার চারপাশে ময়লা আবর্জনাপূর্ণ থাকার কারনে দুর্গন্ধে এলাকার স্বাভাবিক পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। উক্ত পুকুর থেকে প্রতিনিয়ত দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এবং মশা-মাছির উপদ্রব বৃদ্ধি পাচ্ছে। অত্র এলাকায় ডাস্টবিন না থাকার কারনে অসচেতন জনগোষ্ঠী তাদের নিত্য দিনের ব্যবহার্য ময়লা আবর্জনা সংক্ষেপে উক্ত পুকুরের মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। যাহার ফলে একদিকে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হচ্ছে অপরদিকে পুকুরে ময়লা আবর্জনা নিষ্কাশন ব্যাহত হওয়ায় মশা-মাছি ও পোকামাকড়ের বংশবিস্তার বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঐ এলাকা সহ সমগ্র পটুয়াখালীতে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া সহ মশাবাহিত রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ঐ এলাকায় প্রায় ৭/৮ হাজার লোকের বসবাস রয়েছে। রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন অফিসগামী লোকজন সহ স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী প্রবীণ জনগোষ্ঠী, নারী-শিশু এবং ০৭ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত টিবি ক্লিনিকটি মজা পুকুর সংলগ্ন হওয়ায় রোগীদের ভোগান্তি বেড়েছে। এক্ষেত্রে নারী ও শিশুরা বেশি ভুক্তভোগী হন। এলাকার জনসাধারনের সমস্যাটি সমাধানের জন্য গ্রহনীয় পদক্ষেপ তথা চাহিদা নিরুপনের চেষ্টা করি। তাহার প্রেক্ষিতে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর রিয়া মনি এর সাথে কথা বলি এবং সমস্যার কার্যকারী সমাধানের জন্য একটি লিখিত দরখাস্তে উক্ত সমস্যা উল্লেখ করে ঐ এলাকার অধিবাসীদের মধ্য প্রায় ১৫০ জন সহ আমরা ৩ জন স্বাক্ষর করে পটুয়াখালী পৌরসভার সম্মানিত মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ এর বরাবরে ৭/০৯/২০২৩ তারিখ দাখিল করি।
পরবর্তীতে মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ আন্তরিকতার সাথে সমস্যার কথা শোনেন এবং দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিল পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বপন ব্যাণার্জী, প্রথম আলোর সাংবাদিক শংকর লাল দাস, মানব জমিনের জালাল আহমেদ সহ অন্যান্য বিভিন্ন প্রিন্ট ও মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
Leave a Reply