সাতক্ষীরায় বিভিন্ন উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি
দেবহাটা প্রতিনিধি: শামীম হোসেন
সাতক্ষীরা সদর, আশাশুনি ও তালা উপজেলার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বসতবাড়ি, আবাদি জমি ও ঘেরসহ রাস্তাঘাট পানিবন্দি থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে নিম্নাঞ্চলের মানুষ। জেলার নিম্নাঞ্চলগুলোর মধ্যে বেশ কিছু অঞ্চল রয়েছে যেখানে ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য পানি সরবরাহের পাইপগুলো বন্ধ করে রাখা হয়েছে। ফলে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা।
তালা উপজেলা সদরের মাঝিয়াড়া খড়েরডাঙ্গা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ এই জনপদের পানি খড়েরডাঙ্গা থেকে কপোতাক্ষ নদ হয়ে নিষ্কাশিত হয়। তবে পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা থাকায় খাল দিয়ে নিষ্কাশিত হচ্ছে না পানি। কপোতাক্ষ নদের সংযোগ খালে পানি নেই অথচ জনবসতি এলাকায় হাঁটু পানি। একই উপজেলার খলিলনগর, খলিশখালি ইউনিয়নসহ অনেক গ্রামের চিত্র একই।
সাতক্ষীরা শহরের কামালনগর এলাকার ইয়াসিন ইসলাম জানান, সামান্য বৃষ্টিপাত হলেই শহরের অর্ধেক এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। কত কয়েকদিনের বর্ষণে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শহরের পার্শ্ববর্তী অনেকগুলো এলাকা। এতে এলাকার স্কুল শিক্ষার্থীরা পড়েছেন বিপাকে। তাছাড়া অনেকদিন ধরে এসব এলাকায় পানি জমে থাকায় পানিবাহিত নানা ধরনের রোগ দেখা দিয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নিম্নাঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের ড্রেন কালভার্ট যথাযথ নজরদারি না রাখার কারণে এ সমস্যা বারবার সৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, বেতনা নদী পূর্ণ খননের কার্যক্রম দ্রুত শেষ না হলে বছরে ছয় মাস পানিতে ডুবে থাকতে হবে নীচু এলাকার মানুষদের।
আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা গ্রামের দাস পাড়ার ৩৫০টি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে গত তিন মাস যাবৎ। এখানকার অনেকেই বসতবাড়ি রেখে অন্যত্র চলে গেছেন আবার কেউ বা গাছের নিচে কিংবা রাস্তার পাশে বসবাস করছেন।
বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক জানান, পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা করেও সুফল মিলছে না। স্যালো মেশিন লাগিয়ে পানি কমানোর চেষ্টা করেছি তবে বৃষ্টি আসলে আবার ডুবে যাচ্ছে। পাশে বেতনা নদীর খননকাজ চলছে ফলে নদী দিয়ে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না।
আশাশুনি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী জানান, উপজেলার চারটি ইউনিয়নের মানুষ কমবেশি পানিবন্দি। খালে নেটপাটা দিয়ে পানি নিষ্কাশনের পথে বাধা সৃষ্টি করেছে এক শ্রেণির ঘের ব্যবসায়ী। বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।
Leave a Reply