চুুয়াডাঙ্গায় শিক্ষককে চড় মারা মামলায় শিক্ষার্থীর জামিন নামঞ্জুর.

নিজস্ব পতিনিধিঃ

পরীক্ষা চলাকালীন অসদুপায় অবলম্বনে বাধা দেওয়াই শিক্ষকের দুই গালে চড় মারার ঘটনা ঘটেছে।
গত রবিবার ৮ই অক্টোবর২০২৩ইং সকালে চুয়াডাঙ্গা ভিজে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী সাইফুল আমিন দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এবং চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আলামিনের ছেলে।ভুক্তভোগী হলেন বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী শিক্ষক হাফিজুর রহমান।
রবিবার রাতে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ সামিউর রহমান সদর থানায় হাজির হয়ে একটি অভিযোগ ডায়ের করেন।অভিযোগ পত্রে প্রধান শিক্ষক বলেন বিদ্যালয়ের ১১২ নম্বর কক্ষে এসএসসি পরীক্ষার নির্বাচনী পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করছিলেন সহকারী শিক্ষক হাফিজুর রহমান।পরীক্ষার চলাকালীন সময় বিদ্যালয় এর প্রভাতী শাখার দশম শ্রেণীর পরীক্ষার্থী সাইফুল আমিন অসদুপায় অবলম্বন ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ওই শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।সিসি টিভি র ফুটেজ দেখে পরীক্ষার্থী সাইফুল আমিন পরীক্ষা দেওয়ার সময় নকল করলে তার খাতাটি দায়িত্বরত শিক্ষক নিয়ে নেয়। এরপর তাকে শিক্ষকের সাথে কথা বলতে দেখা যায়। এই সময় শিক্ষক তার দুই কাঁধে হাত দিয়ে আসনে বসিয়ে দেয়। এরপর পরীক্ষার্থী আসন থেকে উঠে গিয়ে পিছনে হাত রেখে ওই শিক্ষকের মুখোমুখি দাঁড়ায় এবং সেই সময় শিক্ষকের দুই গালে ডান এবং বামে চড় মেরে শ্রেণীকক্ষ থেকে পালিয়ে যায়। এই সময় শিক্ষক পরীক্ষার্থীর খাতা নিয়ে চলে আসে।ভিজে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ সামিউর রহমান বলেন, এই বিদ্যালয়ের সভাপতি জেলা প্রশাসক ডঃ কিচিঞ্জা চাকমা এই ঘটনার পর বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে তিনি অভিযোগ পত্র দিতে পরামর্শ দেন। সেই মোতাবিক অভিযোগ পত্র দেওয়া হয়েছে। তারই পরিপেক্ষিতে ঐ শিক্ষার্থী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণের পর আদালতের বিজ্ঞ বিচারক শিক্ষার্থীকে জামিন না’মঞ্জুর দেন।

চুুয়াডাঙ্গায় শিক্ষককে চড় মারা মামলায় শিক্ষার্থীর জামিন নামঞ্জুর.দিয়ে যশোর কিশোর সংশোধনাগারে প্রেরণ করেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও ভিজে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ডঃ কিচিঞ্জা চাকমা বলেন বিবাদী শিক্ষার্থী আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করেন।এ ব্যাপারে আদালতের পূর্ণাঙ্গ আদেশ কপি পেলে আরো বিস্তারিত জানা যাবে।